ঢাকা ০৮:১০ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ২৮ নভেম্বর ২০২৩, ১৪ অগ্রহায়ণ ১৪৩০ বঙ্গাব্দ
সর্বশেষ ::
খানবাহাদুর আহ্ছানউল্লা’র আদর্শ বাস্তবায়ন তরুনদের উদ্বুদ্ধ করতে হবে নড়াইল-১আসনে আবারো আ’লীগের মনোনয়ন পেলেন বিএম কবিরুল হক মুক্তি খানবাহাদুর আহ্ছানউল্লা ছিলেন বহুমাত্রিকগুনের অধিকারী : অধ্যাপক ড. এম শমসের আলী ফের নৌকার টিকিট পেলেন রাজী মোহাম্মদ ফখরুল পি‌রোজপু‌রে ফেজবু‌কে স্টাটার্স দি‌য়ে অনার্স পড়ুয়া ছা‌ত্রের আত্মহত্যা যেভাবে জানা যাবে এইচএসসির ফল > How to know HSC result নেত্রকোণা -২ আসনে আওয়ামী লীগের মনোনয়ন প্রত্যাশী ওমর ফারুক জনপ্রিয়তার শীর্ষে চাটখিলে যুবলীগের ৫১ তম প্রতিষ্ঠা বার্ষিকী পালিত দিনব্যাপী গণসংযোগ করলেন নৌকার মনোনয়ন প্রত্যাশী শাহ্ কুতুবউদ্দিন তালুকদার রুয়েল দেশে সকল ধর্মের নাগরিকদের সমান অধিকার রয়েছে –স্থানীয় সরকার মন্ত্রী

নবীনগরে স্কুলের দিঘির মাঝখানে জোরপূর্বক বাঁশের বেড়া

প্রতিনিধির নাম
  • আপডেট সময় : ০৭:৩৪:২৮ অপরাহ্ন, সোমবার, ৪ অক্টোবর ২০২১ ১৯৭ বার পড়া হয়েছে
দেশের সময়২৪ অনলাইনের সর্বশেষ নিউজ পেতে অনুসরণ করুন গুগল নিউজ (Google News) ফিডটি

এহসানুল হক রিপনঃ ব্রাহ্মণবাড়িয়ার নবীনগর উপজেলার গোপালপুর উচ্চ বিদ্যালয়ের নিজস্ব মালিকানাধীন শেফালী দিঘি জোরপূর্বক বালু দিয়ে ভড়াট করে মার্কেট নির্মাণ করতে স্থানীয় একটি চক্র দিঘির মাঝে বাঁশের বেড়া দেওয়ার অভিযোগ।

 

বিদ্যালয়ের দিঘির জায়গা দখলকে কেন্দ্র করে এলাকায় চরম উত্তেজনা তৈরি হচ্ছে, জবরদখলকারীদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ ও বিদ্যালয়ের সম্পত্তি রক্ষার দাবি জানিয়েছেন শিক্ষার্থী,অভিভাবকসহ এলাকার সচেতন মহল। উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ও নবীনগর থানার অফিসার্স ইনচার্জ বরাবর লিখিত অভিযোগ দিয়েছেন প্রধান শিক্ষক।
জানা যায়, ১৯৭৬ সালে গোপালপুর উচ্চ বিদ্যালয়টি প্রতিষ্ঠিত হয়।

 

গোপালপুর মৌজার বিএস খতিয়ান নং ৮৭৭,বিএস দাগ নং-২৬৯৬ দাগে থাকা বিদ্যালয়ের নামে দলিল ও খারিজকৃত, বিএস খতিয়ান ভূক্ত জায়গাটিতে ১৯৭৭ সালে বিদ্যালয়ের প্রতিষ্ঠাতা খোরশেদ আলম ঠিকাদার তার মেয়ে শেফালীর নামে দিঘিটি খনন করেন। এরপর থেকেই বিদ্যালয় ভোগ দখল এবং নিয়মিত খাজনা পরিশোধসহ ম্যানেজিং কমিটি প্রতি বছর মৎস্য চাষের জন্য মৎস্যচাষীদের কাছে পত্তন দিয়ে আসছে।

 

দিঘির পাশে থাকা মসজিদ,ঈদগাহ,কবরস্থানে আসা মুসল্লী ও মাদ্রাসার শিক্ষাথীরা এই দিঘিতে অযু গোসল করেন। অপর দিকে আদু শাহ এর মাজারে এবং গোপালপুর বাজারের লোকজন ও আশপাশের বাসিন্দারা গোসল, ধোয়া মুছাসহ সকল কাজকর্ম শেফালী দিঘিতে করেন। এই দিঘিতে সরকারী খাস খতিয়ানভূক্ত কিছু সরকারী জায়গা রয়েছে বলে জানিয়েছেন এলাকাবাসী।

এমতাবস্থায় দিঘিতে নিজেদের কিছু অংশ আছে দাবী করে গোপালপুর গ্রামের আবদুস সালাম ও আবুল কাসেম মিয়াসহ স্থানীয় একটি চক্র দিঘিটি মাটি দিয়ে ভড়াট করে দোকান ঘড় ও মার্কেট নির্মাণ করার জন্য জোরপূর্বক রবিবার দিঘির মাঝখানে বাঁশ দিয়ে বেড়া দিয়েছেন।

 

দিঘিটি কোন কারনে ভড়াট হয়ে গেলে চরম দূর্ভোগ নেমে আসবে চারপাশের মানুষের অযু গোসল করার ক্ষেত্রে। দিঘিটি রক্ষা করতে স্কুল কর্তৃপক্ষের সিদ্ধান্ত মোতাবেক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মোহাম্মদ আলী রবিবার উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ও নবীনগর থানার অফিসার্স ইনচার্জ বরাবর লিখিত অভিযোগ দিয়েছেন।

নবীনগর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা একরামুল ছিদ্দিক বলেন, গোপালপুর উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষকের মাধ্যমে একটি লিখিত অভিযোগ পেয়েছি। প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য সহকারী কমিশনার (ভূমি) ও নবীনগর থানার অফিসার্স ইনচার্জকে নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে।

আবদুস ছালাম বলেন, দিঘির জায়গা আমাদের পরিবার থেকে দানপত্র করে দেওয়া হয়েছে, ওইখানে আমাদের মালিকানা জায়গা রয়েছে সে কারনে বাঁশের বেড়া দিয়েছি। অতিরিক্ত দখল হয়ে থাকলে কাগজ পত্র দেখে ওই জায়গা ছেড়ে দেব।

নিউজটি শেয়ার করুন

আপনার মন্তব্য

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার ইমেইল এবং অন্যান্য তথ্য সংরক্ষন করুন

নবীনগরে স্কুলের দিঘির মাঝখানে জোরপূর্বক বাঁশের বেড়া

আপডেট সময় : ০৭:৩৪:২৮ অপরাহ্ন, সোমবার, ৪ অক্টোবর ২০২১

এহসানুল হক রিপনঃ ব্রাহ্মণবাড়িয়ার নবীনগর উপজেলার গোপালপুর উচ্চ বিদ্যালয়ের নিজস্ব মালিকানাধীন শেফালী দিঘি জোরপূর্বক বালু দিয়ে ভড়াট করে মার্কেট নির্মাণ করতে স্থানীয় একটি চক্র দিঘির মাঝে বাঁশের বেড়া দেওয়ার অভিযোগ।

 

বিদ্যালয়ের দিঘির জায়গা দখলকে কেন্দ্র করে এলাকায় চরম উত্তেজনা তৈরি হচ্ছে, জবরদখলকারীদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ ও বিদ্যালয়ের সম্পত্তি রক্ষার দাবি জানিয়েছেন শিক্ষার্থী,অভিভাবকসহ এলাকার সচেতন মহল। উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ও নবীনগর থানার অফিসার্স ইনচার্জ বরাবর লিখিত অভিযোগ দিয়েছেন প্রধান শিক্ষক।
জানা যায়, ১৯৭৬ সালে গোপালপুর উচ্চ বিদ্যালয়টি প্রতিষ্ঠিত হয়।

 

গোপালপুর মৌজার বিএস খতিয়ান নং ৮৭৭,বিএস দাগ নং-২৬৯৬ দাগে থাকা বিদ্যালয়ের নামে দলিল ও খারিজকৃত, বিএস খতিয়ান ভূক্ত জায়গাটিতে ১৯৭৭ সালে বিদ্যালয়ের প্রতিষ্ঠাতা খোরশেদ আলম ঠিকাদার তার মেয়ে শেফালীর নামে দিঘিটি খনন করেন। এরপর থেকেই বিদ্যালয় ভোগ দখল এবং নিয়মিত খাজনা পরিশোধসহ ম্যানেজিং কমিটি প্রতি বছর মৎস্য চাষের জন্য মৎস্যচাষীদের কাছে পত্তন দিয়ে আসছে।

 

দিঘির পাশে থাকা মসজিদ,ঈদগাহ,কবরস্থানে আসা মুসল্লী ও মাদ্রাসার শিক্ষাথীরা এই দিঘিতে অযু গোসল করেন। অপর দিকে আদু শাহ এর মাজারে এবং গোপালপুর বাজারের লোকজন ও আশপাশের বাসিন্দারা গোসল, ধোয়া মুছাসহ সকল কাজকর্ম শেফালী দিঘিতে করেন। এই দিঘিতে সরকারী খাস খতিয়ানভূক্ত কিছু সরকারী জায়গা রয়েছে বলে জানিয়েছেন এলাকাবাসী।

এমতাবস্থায় দিঘিতে নিজেদের কিছু অংশ আছে দাবী করে গোপালপুর গ্রামের আবদুস সালাম ও আবুল কাসেম মিয়াসহ স্থানীয় একটি চক্র দিঘিটি মাটি দিয়ে ভড়াট করে দোকান ঘড় ও মার্কেট নির্মাণ করার জন্য জোরপূর্বক রবিবার দিঘির মাঝখানে বাঁশ দিয়ে বেড়া দিয়েছেন।

 

দিঘিটি কোন কারনে ভড়াট হয়ে গেলে চরম দূর্ভোগ নেমে আসবে চারপাশের মানুষের অযু গোসল করার ক্ষেত্রে। দিঘিটি রক্ষা করতে স্কুল কর্তৃপক্ষের সিদ্ধান্ত মোতাবেক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মোহাম্মদ আলী রবিবার উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ও নবীনগর থানার অফিসার্স ইনচার্জ বরাবর লিখিত অভিযোগ দিয়েছেন।

নবীনগর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা একরামুল ছিদ্দিক বলেন, গোপালপুর উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষকের মাধ্যমে একটি লিখিত অভিযোগ পেয়েছি। প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য সহকারী কমিশনার (ভূমি) ও নবীনগর থানার অফিসার্স ইনচার্জকে নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে।

আবদুস ছালাম বলেন, দিঘির জায়গা আমাদের পরিবার থেকে দানপত্র করে দেওয়া হয়েছে, ওইখানে আমাদের মালিকানা জায়গা রয়েছে সে কারনে বাঁশের বেড়া দিয়েছি। অতিরিক্ত দখল হয়ে থাকলে কাগজ পত্র দেখে ওই জায়গা ছেড়ে দেব।