হাতিয়ায় মেঘনা ডায়াগনস্টিক টিকাকেন্দ্রে শিক্ষার্থীদের উপচে পড়া ভিড়

- আপডেট সময় : ০৭:৪৯:৫৮ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ২১ জানুয়ারী ২০২২ ১৪২ বার পড়া হয়েছে
হাতিয়া, নোয়াখালী প্রতিনিধিঃ ছাত্রছাত্রীরা পৃথক দুইটি লাইনে টিকা নিতে দাঁড়িয়ে আছে ছাত্রছাত্রীরা পৃথক দুইটি লাইনে টিকা নিতে দাঁড়িয়ে আছে।
নোয়াখালীর হাতিয়ায় টিকাকেন্দ্রে টিকা নিতে আসা শিক্ষার্থীদের উপচে পড়া ভিড় দেখা গেছে। এ সময় শিক্ষার্থীদের মধ্যে কোনো সামাজিক দূরত্ব ছিল না। বিভিন্ন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান থেকে আসা শিক্ষার্থীরা দীর্ঘ লাইনে দাঁড়িয়ে টিকা নিচ্ছে। কিন্তু লাইনে ঘা ঘেঁষে দাঁড়ানোর কারণে করোনা সংক্রমণের আশঙ্কা হতে পারে।
হাতিয়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স সূত্রে জানা যায়, গত ৭ জানুয়ারি থেকে শিক্ষার্থীদের টিকা দেওয়া হচ্ছে। এ জন্য উপজেলার মেঘনা ডায়াগনস্টিক ল্যাবে অস্থায়ী টিকাকেন্দ্র স্থাপন করা হয়। সামনে প্রশস্ত জায়গা থাকায় বেসরকারি এই ল্যাবকে টিকাকেন্দ্র বানানো হয়েছে।
কেন্দ্রে সকাল ৮টা থেকে শুরু করে বিকেল ৪টা পর্যন্ত আটটি বুথে টিকা দেওয়া হচ্ছে। ২১/০১/২০২২, শুক্রবার আজ সকাল ৮টা হইতে ২ পর্যন্ত ৩ হাজার ১০২জন শিক্ষার্থীকে টিকা দেওয়া হয়েছে। এ পর্যন্ত বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের ছাত্র ছাত্রীদের মাঝে প্রায় ১৬হাজার ২০জনকে টিকা প্রদান করা হয়েছে।
আজ সকালে সরেজমিন টিকাকেন্দ্রে গিয়ে দেখা গেছে, কেন্দ্রে শিক্ষার্থীদের উপচে পড়া ভিড়। দূরের বিভিন্ন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের শিক্ষার্থীরা গাড়ি ভাড়া করে টিকা দিতে এসেছে। সকাল থেকে লাইনে দাঁড়িয়ে আছে তারা।
হাতিয়ার দক্ষিণ বোয়ালিয়া হাই স্কুলের সহকারি শিক্ষক লিটন দাস জানান মেঘনা ডায়াগনস্টিক ল্যাব এর পরিবেশ খুবই সুন্দর থাকার কারণে আজকে আমাদের ছাত্র-ছাত্রীদের কে সুন্দর পরিবেশে টিকা প্রদান করতে পেরেছি। সরজমিনে এসে দেখা গেছে হাতিয়া থানা প্রশাসন ও বিভিন্ন স্কুলের শিক্ষক বৃন্দ নিরলস ভাবে সহযোগিতা করে ছাত্রছাত্রীদের পৃথকভাবে দুটি লাইন করে দিতে দেখা যায়।
হাতিয়া উপজেলা শিক্ষা কর্মকর্তা মো. আমির হোসেন বলেন, এ উপজেলায় উচ্চ বিদ্যালয় রয়েছে ৩৪টি, মাদ্রাসা ১৭টি ও কলেজ ৪টি। এর মধ্যে ১২-১৮ বছর বয়সের প্রায় ২৫ হাজার শিক্ষার্থীকে টিকার আওতায় আনার লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে। দ্রুত সময়ের মধ্যে টিকা কার্যক্রম শেষ করার জন্য শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান থেকে বয়স নির্ধারণ করে একটি তালিকা দেওয়া হয়। সেই তালিকা অনুযায়ী দেওয়া হচ্ছে টিকা।
হাতিয়া স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের মেডিকেল টেকনোলজিস্ট (ইপিআই) মাইন উদ্দিন বলেন, গত বছরের ৭ ফেব্রুয়ারি থেকে হাতিয়া উপজেলায় শুরু করা হয় টিকা কার্যক্রম। চলতি বছরের ১ জানুয়ারি পর্যন্ত বিভিন্ন ধাপে ১ লাখ ৩০ হাজার ৭৪৮ জনকে প্রথম ডোজ ও ৫৭ হাজার ৪৬৬ জনকে দেওয়া হয় দ্বিতীয় ডোজের টিকা। এ জন্য বিভিন্ন সময়ে ইউনিয়নভিত্তিক গণটিকা কার্যক্রমের আয়োজন করা হয়। তবে এখন কমিউনিটি ক্লিনিক থেকেও টিকার কার্যক্রম চালানো হচ্ছে।
হাতিয়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের মেডিকেল অফিসার ও করোনা ইউনিটের ফোকালপারসন মাহতাব উদ্দিন আরও বলেন, প্রতিদিনই হাতিয়ার বিভিন্ন অঞ্চল থেকে উপসর্গ নিয়ে লোকজন উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের ল্যাবে এসে নমুনা পরীক্ষা করছেন। তবে গত দেড় মাসে হাতিয়ায় কারও করোনা শনাক্ত হয়নি।