সেন্টমার্টিনগামী জাহাজে আগুন : চট্টগ্রাম ফিরে যাচ্ছে বে-ওয়ান ক্রুজ জাহাজ

- আপডেট সময় : ১১:২৫:৪৭ পূর্বাহ্ন, শুক্রবার, ২৫ ফেব্রুয়ারী ২০২২ ১৬২ বার পড়া হয়েছে
শাহজাহান চৌধুরী শাহীন, কক্সবাজারঃ চট্টগ্রামে কর্ণফুলী নদীর পতেঙ্গা থেকে সাগর পথে কক্সবাজারের সেন্টমার্টিন দ্বীপে যাত্রা পথে প্রমোদতরী বে-ওয়ান ক্রুজ জাহাজের ৫ম তলায় আগুনের ঘটনা ঘটেছে। জাহাজটি প্রায় এক ঘন্টা চলারপর এ অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা ঘটলে সাগরে জাহাজটি বন্ধ হয়ে যায়। সারারাত জাহাজটি সাগরেই ভাসমান ছিল।। ২৫ ফেব্রুয়ারী শুক্রবার সকাল ১০ টায় চট্টগ্রাম পতেঙ্গার ফিরে যাচ্ছে।
বৃহস্পতিবার (২৪ ফেব্রুয়ারি) রাত ১০টায় জাহাজটি পর্যটক নিয়ে চট্টগ্রামের পতেঙ্গা থেকে সেন্টমার্টিনের উদ্দেশ্য যাত্রা করে। এ সময় জাহাজে সাবেক রেলমন্ত্রী মুজিবুল হক, বেশ কিছু ভিআইপি যাত্রী সহ পাঁচ শতাধিক যাত্রী ছিল বলে জানা গেছে। জাহাজটিতে থাকা নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক একজন যাত্রী এ তথ্য জানান।
জাহান মালিক পক্ষের দাবী আগুন নয়, একটি ইঞ্জিনের ধোঁয়া বের হওয়ার হোস পাইপ ফেটে গিয়ে ধোয়া নির্গত হয়। রাত ১টা ২০ মিনিট নাগাদ জাহাজ থেকে ধোঁয়া বের হওয়া বন্ধ হয়। এ সময় পৌনে এক ঘন্টা ধরে জাহাজের ইঞ্জিন বন্ধ রাখা হয়েছিল। নিরাপত্তার জন্য যাত্রীদের সবাইকে লাইফ জ্যাকেট পরানো হয়।
কোস্টগার্ডকে বিষয়টি জানানো হয়েছে বলে জানান তিনি। বে-ওয়ান ক্রুজ জাহাজে এ ঘটনার সময় জাহাজের যাত্রীদের মধ্যে চরম আতঙ্ক দেখা দেয়। অনেকে বাঁচার আকুতি জানান সৃষ্টি কর্তার কাছে।
ধোয়া বন্ধ মালিক পক্ষ সুত্র আরও জানান, শুক্রবার সকালে জাহাজের ইঞ্জিন পুনরায় চালু করার পরে পরিস্থিতি শান্ত হয়।
কয়েকজন যাত্রী জানান, জাহাজে আগুননের কারণে
ভীত সন্ত্রস্ত বেশির ভাগ যাত্রী সেন্টমার্টিন যেতে অস্বীকৃতি জানানোর কারণে শুক্রবার সকাল ১০ টার দিকে চট্টগ্রামের পতেঙ্গায় ফেরার যাত্রা করেছে।
তবে অন্য একটি সূত্র জানিয়েছে, রাত সোয়া ১০টা পতেঙ্গা থেকে জাহাজটি ছেড়ে যায়। রাত সোয়া ১২টার দিকে জাহাজের ইঞ্জিন রুমে আগুনের সূত্রপাত হয়। ধোয়ায় আচ্ছন্ন হয়ে পড়ে জাহাজের কয়েকটি ডেক। কেবিনেও ছড়িয়ে পড়ে। এতে যাত্রীরা আতংকিত হয়ে পড়ে।
উল্লেখ্য, এমভি বে ওয়ান ক্রুজ জাহাজটির পূর্বে নাম ছিল “সালভিয়া মারু”। কিন্তু এটি বাংলাদেশে আসার পর এর নাম পরিবর্তন করে “বে ওয়ান ক্রুজ ।” জাহাজটি গত বছরের ১৯ সেপ্টেম্বর চট্টগ্রাম বন্দরে এসে পৌঁছান।
জানা যায়, বে-ওয়ান ক্রুজ জাহাজটি নির্মাণ করেছে জাপানের কোবেই শহরের বিখ্যাত প্রতিষ্ঠান মিৎসুবিশি হেভি ইন্ডাস্ট্রিজ লিমিটেড।
১২১ মিটার দৈর্ঘ্য ও ৫ দশমিক ৩ মিটার ড্রাফটের জাহাজটি ঘণ্টায় ২৪ নটিক্যাল মাইল গতিতে চলতে পারে। উত্তাল-সমুদ্র মোকাবিলায় ফিন স্ট্যাবিলাইজার সুবিধাও রাখা হয়েছে জাহাজটিতে। এতে ৪ নম্বর সতর্ক সংকেতেও জাহাজটি চলাচল করতে পারবে।
এছাড়া বে ওয়ান ক্রুজ জাহাজটি ইন্টারন্যাশনাল মেরিটাইম অর্গানাইজেশনের (আইএমও) রেজিস্ট্রেশনপ্রাপ্ত হওয়ায় আন্তর্জাতিক রুটেও চলাচলের সুযোগ রয়েছে। জাহাজটিতে যাত্রীসেবায় নিয়োজিত থাকে ১৫০ জন ক্রু। এছাড়া বে-ওয়ান ক্রুজ পরিচালনায় থাকেন আরো ১৭ জন ক্রু।