ঢাকা ০৩:৪০ অপরাহ্ন, বুধবার, ২৯ নভেম্বর ২০২৩, ১৫ অগ্রহায়ণ ১৪৩০ বঙ্গাব্দ
সর্বশেষ ::
খানবাহাদুর আহ্ছানউল্লা’র আদর্শ বাস্তবায়ন তরুনদের উদ্বুদ্ধ করতে হবে নড়াইল-১আসনে আবারো আ’লীগের মনোনয়ন পেলেন বিএম কবিরুল হক মুক্তি খানবাহাদুর আহ্ছানউল্লা ছিলেন বহুমাত্রিকগুনের অধিকারী : অধ্যাপক ড. এম শমসের আলী ফের নৌকার টিকিট পেলেন রাজী মোহাম্মদ ফখরুল পি‌রোজপু‌রে ফেজবু‌কে স্টাটার্স দি‌য়ে অনার্স পড়ুয়া ছা‌ত্রের আত্মহত্যা যেভাবে জানা যাবে এইচএসসির ফল > How to know HSC result নেত্রকোণা -২ আসনে আওয়ামী লীগের মনোনয়ন প্রত্যাশী ওমর ফারুক জনপ্রিয়তার শীর্ষে চাটখিলে যুবলীগের ৫১ তম প্রতিষ্ঠা বার্ষিকী পালিত দিনব্যাপী গণসংযোগ করলেন নৌকার মনোনয়ন প্রত্যাশী শাহ্ কুতুবউদ্দিন তালুকদার রুয়েল দেশে সকল ধর্মের নাগরিকদের সমান অধিকার রয়েছে –স্থানীয় সরকার মন্ত্রী

উখিয়া রোহিঙ্গা শরনার্থী ক্যাম্পে আরসা সদস্য খুন

প্রতিনিধির নাম
  • আপডেট সময় : ০২:৩২:২৬ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ১৭ জুন ২০২২ ১০৫ বার পড়া হয়েছে

উখিয়া রোহিঙ্গা শরনার্থী ক্যাম্পে আরসা সদস্য খুন

দেশের সময়২৪ অনলাইনের সর্বশেষ নিউজ পেতে অনুসরণ করুন গুগল নিউজ (Google News) ফিডটি

শাহজাহান চৌধুরী শাহীন, কক্সবাজারঃ কক্সবাজারের উখিয়া কুতুপালং রোহিঙ্গা শরনার্থী ক্যাম্পে দুই পক্ষের গোলাগুলিতে মো. সেলিম (৩০) নামের মিয়ানমারের সশস্ত্র বিদ্রোহী সংগঠনের (আরসা) সদস্য নিহত হয়েছেন।

বুধবার রাত সাড়ে ৯ টার দিকে উখিয়া উপজেলার কুতুপালং ক্যাম্প ২-ওয়েস্টের সি ব্লকে এ ঘটনা ঘটেছে। এনিয়ে ক্যাম্পে উত্তেজনা বিরাজ করছে।

রোহিঙ্গা ক্যাম্পে নিরাপত্তার দায়িত্বে নিয়োজিত ১৪ আর্মড পুলিশ ব্যাটালিয়নের (এপিবিএন) অধিনায়ক মো. নাইমুল হক বিষয়টি নিশ্চিত করে বলেন, “নিহত সেলিম কথিত ‘আরসা’ (আরাকান রোহিঙ্গা স্যালভেশন আর্মি) গ্রুপের সমর্থক। ক্যাম্পের ‘মুন্না গ্রুপের’ দুষ্কৃতকারী ও কথিত আরসা সদস্যের মধ্যে গোলাগুলি হয়।

এ সময় আরসা সদস্য সেলিম গুলিবিদ্ধ হন। ঘটনার পর তাঁকে উদ্ধার করে কুতুপালং এমএসএফ হাসপাতালে নেওয়া হলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন। মরদেহ ময়না তদন্তের জন্য কক্সবাজার জেলা সদর হাসপাতাল মর্গে পাঠানো হয়েছে।

বিভিন্ন সুত্র মতে, “রোহিঙ্গা ক্যাম্পে আরসার উপস্থিতি এটা নতুন নয়। সেটি রোহিঙ্গা নেতা মাস্টার মুহিব উল্লাহ হত্যার তদন্তে বেরিয়ে এসেছে। তবে রোহিঙ্গাদের বৃহত্তর অংশ সন্ত্রাসী আরসাকে সমর্থন করে না।

সুত্র মতে, “আরসাকে সমর্থন না করার সবচেয়ে বড়ো কারণ হলো, তাদের কারণেই রোহিঙ্গা জনগোষ্ঠীকে রাখাইন থেকে বিতাড়িত করা হয়েছে।

তাদের যা কার্যক্রম সেগুলো মূলত মিয়ানমার সেনাবাহিনী ও সরকারের পক্ষে যায়। এই অবস্থায় বাংলাদেশ সরকারের উচিত, আইনশৃঙ্খলা বাহিনী ও গোয়েন্দা সংস্থা দিয়ে তাদের দমন করার পাশাপাশি রোহিঙ্গা নেতাদের সাথে একত্রে কাজ করে আরসাকে উৎখাত করে শরণার্থী শিবির নিরাপদ রাখা।

 

 

নিউজটি শেয়ার করুন

আপনার মন্তব্য

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার ইমেইল এবং অন্যান্য তথ্য সংরক্ষন করুন

উখিয়া রোহিঙ্গা শরনার্থী ক্যাম্পে আরসা সদস্য খুন

আপডেট সময় : ০২:৩২:২৬ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ১৭ জুন ২০২২

শাহজাহান চৌধুরী শাহীন, কক্সবাজারঃ কক্সবাজারের উখিয়া কুতুপালং রোহিঙ্গা শরনার্থী ক্যাম্পে দুই পক্ষের গোলাগুলিতে মো. সেলিম (৩০) নামের মিয়ানমারের সশস্ত্র বিদ্রোহী সংগঠনের (আরসা) সদস্য নিহত হয়েছেন।

বুধবার রাত সাড়ে ৯ টার দিকে উখিয়া উপজেলার কুতুপালং ক্যাম্প ২-ওয়েস্টের সি ব্লকে এ ঘটনা ঘটেছে। এনিয়ে ক্যাম্পে উত্তেজনা বিরাজ করছে।

রোহিঙ্গা ক্যাম্পে নিরাপত্তার দায়িত্বে নিয়োজিত ১৪ আর্মড পুলিশ ব্যাটালিয়নের (এপিবিএন) অধিনায়ক মো. নাইমুল হক বিষয়টি নিশ্চিত করে বলেন, “নিহত সেলিম কথিত ‘আরসা’ (আরাকান রোহিঙ্গা স্যালভেশন আর্মি) গ্রুপের সমর্থক। ক্যাম্পের ‘মুন্না গ্রুপের’ দুষ্কৃতকারী ও কথিত আরসা সদস্যের মধ্যে গোলাগুলি হয়।

এ সময় আরসা সদস্য সেলিম গুলিবিদ্ধ হন। ঘটনার পর তাঁকে উদ্ধার করে কুতুপালং এমএসএফ হাসপাতালে নেওয়া হলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন। মরদেহ ময়না তদন্তের জন্য কক্সবাজার জেলা সদর হাসপাতাল মর্গে পাঠানো হয়েছে।

বিভিন্ন সুত্র মতে, “রোহিঙ্গা ক্যাম্পে আরসার উপস্থিতি এটা নতুন নয়। সেটি রোহিঙ্গা নেতা মাস্টার মুহিব উল্লাহ হত্যার তদন্তে বেরিয়ে এসেছে। তবে রোহিঙ্গাদের বৃহত্তর অংশ সন্ত্রাসী আরসাকে সমর্থন করে না।

সুত্র মতে, “আরসাকে সমর্থন না করার সবচেয়ে বড়ো কারণ হলো, তাদের কারণেই রোহিঙ্গা জনগোষ্ঠীকে রাখাইন থেকে বিতাড়িত করা হয়েছে।

তাদের যা কার্যক্রম সেগুলো মূলত মিয়ানমার সেনাবাহিনী ও সরকারের পক্ষে যায়। এই অবস্থায় বাংলাদেশ সরকারের উচিত, আইনশৃঙ্খলা বাহিনী ও গোয়েন্দা সংস্থা দিয়ে তাদের দমন করার পাশাপাশি রোহিঙ্গা নেতাদের সাথে একত্রে কাজ করে আরসাকে উৎখাত করে শরণার্থী শিবির নিরাপদ রাখা।