ঢাকা ০৩:১৮ অপরাহ্ন, বুধবার, ২৯ নভেম্বর ২০২৩, ১৫ অগ্রহায়ণ ১৪৩০ বঙ্গাব্দ
সর্বশেষ ::
খানবাহাদুর আহ্ছানউল্লা’র আদর্শ বাস্তবায়ন তরুনদের উদ্বুদ্ধ করতে হবে নড়াইল-১আসনে আবারো আ’লীগের মনোনয়ন পেলেন বিএম কবিরুল হক মুক্তি খানবাহাদুর আহ্ছানউল্লা ছিলেন বহুমাত্রিকগুনের অধিকারী : অধ্যাপক ড. এম শমসের আলী ফের নৌকার টিকিট পেলেন রাজী মোহাম্মদ ফখরুল পি‌রোজপু‌রে ফেজবু‌কে স্টাটার্স দি‌য়ে অনার্স পড়ুয়া ছা‌ত্রের আত্মহত্যা যেভাবে জানা যাবে এইচএসসির ফল > How to know HSC result নেত্রকোণা -২ আসনে আওয়ামী লীগের মনোনয়ন প্রত্যাশী ওমর ফারুক জনপ্রিয়তার শীর্ষে চাটখিলে যুবলীগের ৫১ তম প্রতিষ্ঠা বার্ষিকী পালিত দিনব্যাপী গণসংযোগ করলেন নৌকার মনোনয়ন প্রত্যাশী শাহ্ কুতুবউদ্দিন তালুকদার রুয়েল দেশে সকল ধর্মের নাগরিকদের সমান অধিকার রয়েছে –স্থানীয় সরকার মন্ত্রী

মৎস্য অফিসের অনিয়ম: দরপত্র ছাড়াই মাছের পোনা অবমুক্ত!

প্রতিনিধির নাম
  • আপডেট সময় : ০৩:৪৭:২৯ অপরাহ্ন, রবিবার, ১৭ অক্টোবর ২০২১ ২০৩ বার পড়া হয়েছে
দেশের সময়২৪ অনলাইনের সর্বশেষ নিউজ পেতে অনুসরণ করুন গুগল নিউজ (Google News) ফিডটি

এহসানুল হক রিপনঃ ব্রাহ্মণবাড়িয়ার বিজয়নগর উপজেলা মৎস্য অফিস দরপত্র ছাড়াই মাছের পোনা মাছ অবমুক্ত করা হয়েছে। এতে করে সরকারি বিধি বিধানকে অমান্য করা হয়েছে।

খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, চলতি বছরে ২০২১ সালে পোনা মাছ অবমুক্ত করণের ক্ষেত্রে কোন নিয়ম নীতি অনুসরণ করা হয়নি। উপজেলা মৎস্য অফিসের ক্ষেত্র সহকারি হামিদুল হকের হাত ধরে দরপত্র ছাড়া পোনা মাছ অবমুক্ত করা হয়েছে বলে অভিযোগ উঠেছে।

সরকারি সিদ্ধান্ত মোতাবেক দরপত্র প্রকাশের মধ্যে দিয়ে পোনা মাছ সরবরাহের প্রক্রিয়ার বিধান থাকলেও উপজেলা মৎস্য অফিস থেকে কোন দরপত্র আহবান করা কিংবা তা যথাযথ স্থানে প্রকাশ এবং প্রচার করা হয়নি। এমন কি দরপত্রের অবগতি কপি সংশ্লিষ্ট দপ্তরের দেয়া এবং নোটিশ বোর্ডে প্রকাশের বিধান থাকলেও তা যথাযথ নিয়মে করা হয়নি।

দরপত্র গোপন রেখে টেন্ডার প্রক্রিয়া শেষ করেছে এ উপজেলা মৎস্য অফিস। টেন্ডারে অর্থ কোথায় গেল? কি ভাবে তা ব্যয় করা হলো তার কোন হদিস নেই। এ টেন্ডারের ১ লক্ষ ১০ হাজার টাকা বরাদ্দ ছিল বলে সংশ্লিষ্ট দপ্তর সূত্রে নিশ্চিত হওয়া গেছে।

সরকারি বরাদ্দ থাকার পরও কোন দরপত্র প্রকাশ না করে অফিসের ক্ষেত্র সহকারির মাধ্যমে নামে মাত্র পোনা মাছ সংগ্রহ করে মাছ অবমুক্ত করা হয়েছে বলে অভিযোগ উঠেছে।

উপজেলা চেয়ারম্যান কার্যালয়ে অফিস সহকারি ( সিএ) এমাদুল হকের কাছে জানতে চাইলে তিনি জানান, দরপত্রের কপি তিনি যথা সময়ে পাননি। মৎস্য অফিসে দরপত্রের চেয়ারম্যানের কপি চাওয়ার পরও মৎস্য অফিস থেকে তাকে কোন কপি দেয়া হয়নি।

উপজেলা মৎস্য অফিসের ক্ষেত্র সহকারি হামিদুল হকের সাথে এ বিষয়ে কথা বলতে চাইলে তিনি বলেন, আমি কিছু বলতে পারবো না। উপর থেকে নিষেধ আছে সাংবাদিকদের সাথে কথা বলতে। যদি কিছু থাকে তাহলে আপনারা গিয়ে লিখুন।

উপজেলা মৎস্য কর্মকর্তা (অতিরিক্ত দায়িত্ব) মায়মুনা জাহানের নিকট জানতে চাইলে তিনি বলেন, আমি এসবের বিষয়ে কিছু জানি না। আগের কর্মকর্তা সেটা বলতে পারবে। তিনি (আগের কর্মকর্তা) সেটা ভালো বলতে পারবে।

নিয়মের বাহিরে তো কিছু করতে পারবেন না। নিয়মের মধ্যেই নিশ্চয় করছে। তবে পূর্বে কর্মকর্তা বর্তমানে ট্রেনিংয়ে আছেন বলে মায়মুনা জাহান জানিয়েছেন।

এ বিষয়ে জেলা মৎস্য কর্মকর্তা তাজমহল বেগম বলেন, তারা নিয়ম মেনেই করার কথা। তারপরও যেহেতু কার্যক্রমটা হয়ে গেছে পরবর্তীতে তা আমি দেখব।

নিউজটি শেয়ার করুন

আপনার মন্তব্য

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার ইমেইল এবং অন্যান্য তথ্য সংরক্ষন করুন

মৎস্য অফিসের অনিয়ম: দরপত্র ছাড়াই মাছের পোনা অবমুক্ত!

আপডেট সময় : ০৩:৪৭:২৯ অপরাহ্ন, রবিবার, ১৭ অক্টোবর ২০২১

এহসানুল হক রিপনঃ ব্রাহ্মণবাড়িয়ার বিজয়নগর উপজেলা মৎস্য অফিস দরপত্র ছাড়াই মাছের পোনা মাছ অবমুক্ত করা হয়েছে। এতে করে সরকারি বিধি বিধানকে অমান্য করা হয়েছে।

খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, চলতি বছরে ২০২১ সালে পোনা মাছ অবমুক্ত করণের ক্ষেত্রে কোন নিয়ম নীতি অনুসরণ করা হয়নি। উপজেলা মৎস্য অফিসের ক্ষেত্র সহকারি হামিদুল হকের হাত ধরে দরপত্র ছাড়া পোনা মাছ অবমুক্ত করা হয়েছে বলে অভিযোগ উঠেছে।

সরকারি সিদ্ধান্ত মোতাবেক দরপত্র প্রকাশের মধ্যে দিয়ে পোনা মাছ সরবরাহের প্রক্রিয়ার বিধান থাকলেও উপজেলা মৎস্য অফিস থেকে কোন দরপত্র আহবান করা কিংবা তা যথাযথ স্থানে প্রকাশ এবং প্রচার করা হয়নি। এমন কি দরপত্রের অবগতি কপি সংশ্লিষ্ট দপ্তরের দেয়া এবং নোটিশ বোর্ডে প্রকাশের বিধান থাকলেও তা যথাযথ নিয়মে করা হয়নি।

দরপত্র গোপন রেখে টেন্ডার প্রক্রিয়া শেষ করেছে এ উপজেলা মৎস্য অফিস। টেন্ডারে অর্থ কোথায় গেল? কি ভাবে তা ব্যয় করা হলো তার কোন হদিস নেই। এ টেন্ডারের ১ লক্ষ ১০ হাজার টাকা বরাদ্দ ছিল বলে সংশ্লিষ্ট দপ্তর সূত্রে নিশ্চিত হওয়া গেছে।

সরকারি বরাদ্দ থাকার পরও কোন দরপত্র প্রকাশ না করে অফিসের ক্ষেত্র সহকারির মাধ্যমে নামে মাত্র পোনা মাছ সংগ্রহ করে মাছ অবমুক্ত করা হয়েছে বলে অভিযোগ উঠেছে।

উপজেলা চেয়ারম্যান কার্যালয়ে অফিস সহকারি ( সিএ) এমাদুল হকের কাছে জানতে চাইলে তিনি জানান, দরপত্রের কপি তিনি যথা সময়ে পাননি। মৎস্য অফিসে দরপত্রের চেয়ারম্যানের কপি চাওয়ার পরও মৎস্য অফিস থেকে তাকে কোন কপি দেয়া হয়নি।

উপজেলা মৎস্য অফিসের ক্ষেত্র সহকারি হামিদুল হকের সাথে এ বিষয়ে কথা বলতে চাইলে তিনি বলেন, আমি কিছু বলতে পারবো না। উপর থেকে নিষেধ আছে সাংবাদিকদের সাথে কথা বলতে। যদি কিছু থাকে তাহলে আপনারা গিয়ে লিখুন।

উপজেলা মৎস্য কর্মকর্তা (অতিরিক্ত দায়িত্ব) মায়মুনা জাহানের নিকট জানতে চাইলে তিনি বলেন, আমি এসবের বিষয়ে কিছু জানি না। আগের কর্মকর্তা সেটা বলতে পারবে। তিনি (আগের কর্মকর্তা) সেটা ভালো বলতে পারবে।

নিয়মের বাহিরে তো কিছু করতে পারবেন না। নিয়মের মধ্যেই নিশ্চয় করছে। তবে পূর্বে কর্মকর্তা বর্তমানে ট্রেনিংয়ে আছেন বলে মায়মুনা জাহান জানিয়েছেন।

এ বিষয়ে জেলা মৎস্য কর্মকর্তা তাজমহল বেগম বলেন, তারা নিয়ম মেনেই করার কথা। তারপরও যেহেতু কার্যক্রমটা হয়ে গেছে পরবর্তীতে তা আমি দেখব।