ঢাকা ০৮:১২ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ২৮ নভেম্বর ২০২৩, ১৪ অগ্রহায়ণ ১৪৩০ বঙ্গাব্দ
সর্বশেষ ::
খানবাহাদুর আহ্ছানউল্লা’র আদর্শ বাস্তবায়ন তরুনদের উদ্বুদ্ধ করতে হবে নড়াইল-১আসনে আবারো আ’লীগের মনোনয়ন পেলেন বিএম কবিরুল হক মুক্তি খানবাহাদুর আহ্ছানউল্লা ছিলেন বহুমাত্রিকগুনের অধিকারী : অধ্যাপক ড. এম শমসের আলী ফের নৌকার টিকিট পেলেন রাজী মোহাম্মদ ফখরুল পি‌রোজপু‌রে ফেজবু‌কে স্টাটার্স দি‌য়ে অনার্স পড়ুয়া ছা‌ত্রের আত্মহত্যা যেভাবে জানা যাবে এইচএসসির ফল > How to know HSC result নেত্রকোণা -২ আসনে আওয়ামী লীগের মনোনয়ন প্রত্যাশী ওমর ফারুক জনপ্রিয়তার শীর্ষে চাটখিলে যুবলীগের ৫১ তম প্রতিষ্ঠা বার্ষিকী পালিত দিনব্যাপী গণসংযোগ করলেন নৌকার মনোনয়ন প্রত্যাশী শাহ্ কুতুবউদ্দিন তালুকদার রুয়েল দেশে সকল ধর্মের নাগরিকদের সমান অধিকার রয়েছে –স্থানীয় সরকার মন্ত্রী

কুমিল্লায় পূজামণ্ডপে কোরআন রাখা কে এই ইকবাল?

প্রতিনিধির নাম
  • আপডেট সময় : ১২:৫৫:১৬ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২১ অক্টোবর ২০২১ ১৯২ বার পড়া হয়েছে

পূজামণ্ডপে কোরআন রাখা কে এই ইকবাল?

দেশের সময়২৪ অনলাইনের সর্বশেষ নিউজ পেতে অনুসরণ করুন গুগল নিউজ (Google News) ফিডটি

কুমিল্লার নানুয়াদিঘির পাড়ের পূজামণ্ডপে পবিত্র কোরআন শরিফ রেখেছিলেন যে ব্যক্তি তাকে সিসি ক্যামেরার ফুটেজ দেখে শনাক্ত করেছে পুলিশ। শনাক্ত ব্যক্তির নাম ইকবাল হোসেন (৩৫)। এই ইকবাল হোসেন আসলে কে?

খোঁজ নিয়ে জানা যায়, কুমিল্লা নগরীর ১৭ নম্বর ওয়ার্ডের দ্বিতীয় মুরাদপুর-লস্কর পুকুর এলাকার নূর আহমদ আলমের ছেলে ইকবাল। তার বাবা মাছের ব্যবসা করেন। পুলিশের একাধিক সংস্থার তদন্তে এবং সিটিটিভির ফুটেজ দেখে ইকবালকে শনাক্ত করা হয়। ইকবালের মা বিবি আমেনা বেগম জানান, তার তিন ছেলে ও দুই মেয়ে। ইকবাল সবার বড়। ইকবাল ১৫ বছর বয়স থেকেই মাদক সেবন শুরু করে। ১০ বছর আগে বরুড়া উপজেলায় বিয়ে করেছেন ইকবাল। তার এক ছেলে। বিয়ের পাঁচ বছর পর স্ত্রীর সঙ্গে ইকবালের ডিভোর্স হয়। তারপর চৌদ্দগ্রাম উপজেলার মিয়াবাজার এলাকার কাদৈর গ্রামে বিয়ে করেন। এই সংসারে এক ছেলে এক মেয়ে। ইকবালের স্ত্রী-সন্তান এখন কাদৈর গ্রামে থাকেন।

আমেনা বেগম বলেন, ইকবাল নেশাগ্রস্ত হয়ে নানাভাবে পরিবারের সদস্যদের অত্যাচার করতো। বিভিন্ন সময় রাস্তাঘাটে মানুষকে হয়রানি করতো। গোসলখানায় দরজা বন্ধ করে ইয়াবা সেবন করতো। ইকবাল মাজারে মাজারে থাকতো। বিভিন্ন সময় আখাউড়া মাজারে যেতো। কুমিল্লার বিভিন্ন মাজারেও তার যাতায়াত ছিল। পঞ্চম শ্রেণি পর্যন্ত পড়াশোনা করেছে। ১০ বছর আগে বন্ধুদের সঙ্গে পাড়ার কিছু ছেলের মারামারি হয়। এ সময় ইকবালের পেটে ছুরিকাঘাত করা হয়। তখন থেকে ইকবাল অসুস্থ। উল্টাপাল্টা চলাফেরা করায় বিভিন্ন সময় চোরের অপবাদ দিয়ে তাকে স্থানীয়রা মারধর করতো। পরে তারাই আক্ষেপ করতো। ভালো ক্রিকেটও খেলতে পারতো ইকবাল। কয়েক দিন আগে কাউন্সিলরের কাছ থেকে শুনেছি, ইকবাল পূজামণ্ডপ থেকে হনুমানের গদা নিয়ে আসে। এরপর থেকে এলাকায় তাকে নিয়ে চলছে আলোচনা।

এছাড়া পুলিশের কাছে ইকবালের পরিবার দাবি করেছে, তিনি কিছুটা মানসিক ভারসাম্যহীন। তবে পরিবারের বাইরে অন্য কোনো নির্ভরযোগ্য সূত্র থেকে এ বিষয়ে নিশ্চিত হতে পারেননি তদন্ত সংশ্লিষ্টরা। পুলিশের এক ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা জানিয়েছেন, ইকবাল নিয়মিত নামাজ পড়েন। আবার মাদকের সঙ্গে তার সংশ্লিষ্টতা আছে। এখনো পর্যন্ত সিসি ক্যামেরার ফুটেজ দেখে পুলিশের ভাষ্য, কুমিল্লার সুজানগরের এ যুবকই পবিত্র কোরআন শরিফ নিয়ে কুমিল্লা শহরের প্রাণকেন্দ্র নানুয়া দীঘির পাড়ের পূজামণ্ডপে রাখেন। এরপর তা নিয়ে দেশব্যাপী তুলকালাম ঘটে। এ ঘটনার তদন্তের সঙ্গে যুক্ত উচ্চ পর্যায়ের একজন পুলিশ কর্মকর্তা জানান, ইকবাল হোসেন স্থানীয় একটি মাজার সংলগ্ন মসজিদ থেকে কোরআন শরিফ সংগ্রহ করে মণ্ডপে গিয়ে ঢুকেন। মূলত সিসি ক্যামেরার ফুটেজ দেখেই তাকে শনাক্ত করা হয়। তবে ঘটনার সঙ্গে আরো কয়েকজন জড়িত বলে ধারণা করছে পুলিশ। এরই মধ্যে তাদের কয়েকজনকে আটকও করা হয়েছে। তিনি আরো জানান, নানুয়া দীঘির উত্তর-পশ্চিম দিকের বজ্রপুর এলাকায় অবস্থিত দারোগা বাড়ি মাজার সংলগ্ন মসজিদ থেকে পবিত্র কোরআন শরিফ নিয়ে আসা হয়। সেখান থেকে ওই মণ্ডপে যেতে সময় লাগে মাত্র দুই মিনিট।

এর আগে বুধবার রাতেই পুলিশের উচ্চ পর্যায়ের একটি নির্ভরযোগ্য সূত্র জানায়, পবিত্র কোরআন রাখার ঘটনায় শনাক্ত ওই ব্যক্তির নাম ইকবাল হোসেন। তার বাবার নাম নুর আহমেদ আলম। বাড়ি কুমিল্লার সুজানগরে। এ বিষয়ে কুমিল্লার পুলিশ সুপার ফারুক আহমেদ বলেন, আমরা এ ঘটনার মূল সন্দেহভাজনকে শনাক্ত করেছি। তাকে গ্রেপ্তারে সর্বাত্মক শক্তি প্রয়োগ করা হচ্ছে। আশা করি শিগগিরই অগ্রগতি পাওয়া যাবে। পুলিশের আরেক কর্মকর্তা জানান, শনাক্ত ইকবাল হোসেন কোথা থেকে পবিত্র কোরআন শরিফটি সংগ্রহ করেন, সিসি ক্যামেরার ফুটেজ দেখে তাও বের করা হয়েছে। কুমিল্লার ঘটনাটিতে যে সিসি ক্যামেরার ফুটেজের মাধ্যমে মূল সন্দেহভাজন শনাক্ত হয়েছে, তা সামনে আনতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেছে অ্যান্টি টেররিজম ইউনিট (এটিইউ)। ঢাকা থেকে এটিইউর বিশেষ টিম ঘটনাস্থলে নিয়ে এর রহস্য উদঘাটনে এখনো কাজ চলছে। তবে ইকবাল কেন, কী কারণে, কাদের প্ররোচনায় পবিত্র কোরআন শরিফ নিয়ে মণ্ডপে রেখে সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি নষ্টের মতো পরিস্থিতি তৈরি করেছেন, সে সম্পর্কে এখনো নিশ্চিত হতে পারেনি পুলিশ।

এর আগে গত সোমবার পুলিশের একটি দায়িত্বশীল সূত্র জানায়, যেখান থেকে ধর্মীয় গ্রন্থ সংগ্রহ করে মন্দিরে নেওয়া হয়, সেই তথ্যও গোয়েন্দাদের হাতে এসেছে। এখন ‘মোস্ট ওয়ান্টেড’ ওই ব্যক্তিকে খুঁজছে দেশের সব গোয়েন্দা সংস্থা। গত সোমবার র‌্যাবের অতিরিক্ত মহাপরিচালক (অপারেশন্স) কর্নেল কেএম আজাদ বলেন, কুমিল্লা থেকে যেহেতু সারা দেশে সহিংসতার সূত্রপাত, তাই সেখানে কারা কীভাবে এর সঙ্গে জড়িত, তা বের করার বিষয়টি গুরুত্ব দেওয়া হচ্ছে।

নিউজটি শেয়ার করুন

আপনার মন্তব্য

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার ইমেইল এবং অন্যান্য তথ্য সংরক্ষন করুন

কুমিল্লায় পূজামণ্ডপে কোরআন রাখা কে এই ইকবাল?

আপডেট সময় : ১২:৫৫:১৬ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২১ অক্টোবর ২০২১

কুমিল্লার নানুয়াদিঘির পাড়ের পূজামণ্ডপে পবিত্র কোরআন শরিফ রেখেছিলেন যে ব্যক্তি তাকে সিসি ক্যামেরার ফুটেজ দেখে শনাক্ত করেছে পুলিশ। শনাক্ত ব্যক্তির নাম ইকবাল হোসেন (৩৫)। এই ইকবাল হোসেন আসলে কে?

খোঁজ নিয়ে জানা যায়, কুমিল্লা নগরীর ১৭ নম্বর ওয়ার্ডের দ্বিতীয় মুরাদপুর-লস্কর পুকুর এলাকার নূর আহমদ আলমের ছেলে ইকবাল। তার বাবা মাছের ব্যবসা করেন। পুলিশের একাধিক সংস্থার তদন্তে এবং সিটিটিভির ফুটেজ দেখে ইকবালকে শনাক্ত করা হয়। ইকবালের মা বিবি আমেনা বেগম জানান, তার তিন ছেলে ও দুই মেয়ে। ইকবাল সবার বড়। ইকবাল ১৫ বছর বয়স থেকেই মাদক সেবন শুরু করে। ১০ বছর আগে বরুড়া উপজেলায় বিয়ে করেছেন ইকবাল। তার এক ছেলে। বিয়ের পাঁচ বছর পর স্ত্রীর সঙ্গে ইকবালের ডিভোর্স হয়। তারপর চৌদ্দগ্রাম উপজেলার মিয়াবাজার এলাকার কাদৈর গ্রামে বিয়ে করেন। এই সংসারে এক ছেলে এক মেয়ে। ইকবালের স্ত্রী-সন্তান এখন কাদৈর গ্রামে থাকেন।

আমেনা বেগম বলেন, ইকবাল নেশাগ্রস্ত হয়ে নানাভাবে পরিবারের সদস্যদের অত্যাচার করতো। বিভিন্ন সময় রাস্তাঘাটে মানুষকে হয়রানি করতো। গোসলখানায় দরজা বন্ধ করে ইয়াবা সেবন করতো। ইকবাল মাজারে মাজারে থাকতো। বিভিন্ন সময় আখাউড়া মাজারে যেতো। কুমিল্লার বিভিন্ন মাজারেও তার যাতায়াত ছিল। পঞ্চম শ্রেণি পর্যন্ত পড়াশোনা করেছে। ১০ বছর আগে বন্ধুদের সঙ্গে পাড়ার কিছু ছেলের মারামারি হয়। এ সময় ইকবালের পেটে ছুরিকাঘাত করা হয়। তখন থেকে ইকবাল অসুস্থ। উল্টাপাল্টা চলাফেরা করায় বিভিন্ন সময় চোরের অপবাদ দিয়ে তাকে স্থানীয়রা মারধর করতো। পরে তারাই আক্ষেপ করতো। ভালো ক্রিকেটও খেলতে পারতো ইকবাল। কয়েক দিন আগে কাউন্সিলরের কাছ থেকে শুনেছি, ইকবাল পূজামণ্ডপ থেকে হনুমানের গদা নিয়ে আসে। এরপর থেকে এলাকায় তাকে নিয়ে চলছে আলোচনা।

এছাড়া পুলিশের কাছে ইকবালের পরিবার দাবি করেছে, তিনি কিছুটা মানসিক ভারসাম্যহীন। তবে পরিবারের বাইরে অন্য কোনো নির্ভরযোগ্য সূত্র থেকে এ বিষয়ে নিশ্চিত হতে পারেননি তদন্ত সংশ্লিষ্টরা। পুলিশের এক ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা জানিয়েছেন, ইকবাল নিয়মিত নামাজ পড়েন। আবার মাদকের সঙ্গে তার সংশ্লিষ্টতা আছে। এখনো পর্যন্ত সিসি ক্যামেরার ফুটেজ দেখে পুলিশের ভাষ্য, কুমিল্লার সুজানগরের এ যুবকই পবিত্র কোরআন শরিফ নিয়ে কুমিল্লা শহরের প্রাণকেন্দ্র নানুয়া দীঘির পাড়ের পূজামণ্ডপে রাখেন। এরপর তা নিয়ে দেশব্যাপী তুলকালাম ঘটে। এ ঘটনার তদন্তের সঙ্গে যুক্ত উচ্চ পর্যায়ের একজন পুলিশ কর্মকর্তা জানান, ইকবাল হোসেন স্থানীয় একটি মাজার সংলগ্ন মসজিদ থেকে কোরআন শরিফ সংগ্রহ করে মণ্ডপে গিয়ে ঢুকেন। মূলত সিসি ক্যামেরার ফুটেজ দেখেই তাকে শনাক্ত করা হয়। তবে ঘটনার সঙ্গে আরো কয়েকজন জড়িত বলে ধারণা করছে পুলিশ। এরই মধ্যে তাদের কয়েকজনকে আটকও করা হয়েছে। তিনি আরো জানান, নানুয়া দীঘির উত্তর-পশ্চিম দিকের বজ্রপুর এলাকায় অবস্থিত দারোগা বাড়ি মাজার সংলগ্ন মসজিদ থেকে পবিত্র কোরআন শরিফ নিয়ে আসা হয়। সেখান থেকে ওই মণ্ডপে যেতে সময় লাগে মাত্র দুই মিনিট।

এর আগে বুধবার রাতেই পুলিশের উচ্চ পর্যায়ের একটি নির্ভরযোগ্য সূত্র জানায়, পবিত্র কোরআন রাখার ঘটনায় শনাক্ত ওই ব্যক্তির নাম ইকবাল হোসেন। তার বাবার নাম নুর আহমেদ আলম। বাড়ি কুমিল্লার সুজানগরে। এ বিষয়ে কুমিল্লার পুলিশ সুপার ফারুক আহমেদ বলেন, আমরা এ ঘটনার মূল সন্দেহভাজনকে শনাক্ত করেছি। তাকে গ্রেপ্তারে সর্বাত্মক শক্তি প্রয়োগ করা হচ্ছে। আশা করি শিগগিরই অগ্রগতি পাওয়া যাবে। পুলিশের আরেক কর্মকর্তা জানান, শনাক্ত ইকবাল হোসেন কোথা থেকে পবিত্র কোরআন শরিফটি সংগ্রহ করেন, সিসি ক্যামেরার ফুটেজ দেখে তাও বের করা হয়েছে। কুমিল্লার ঘটনাটিতে যে সিসি ক্যামেরার ফুটেজের মাধ্যমে মূল সন্দেহভাজন শনাক্ত হয়েছে, তা সামনে আনতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেছে অ্যান্টি টেররিজম ইউনিট (এটিইউ)। ঢাকা থেকে এটিইউর বিশেষ টিম ঘটনাস্থলে নিয়ে এর রহস্য উদঘাটনে এখনো কাজ চলছে। তবে ইকবাল কেন, কী কারণে, কাদের প্ররোচনায় পবিত্র কোরআন শরিফ নিয়ে মণ্ডপে রেখে সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি নষ্টের মতো পরিস্থিতি তৈরি করেছেন, সে সম্পর্কে এখনো নিশ্চিত হতে পারেনি পুলিশ।

এর আগে গত সোমবার পুলিশের একটি দায়িত্বশীল সূত্র জানায়, যেখান থেকে ধর্মীয় গ্রন্থ সংগ্রহ করে মন্দিরে নেওয়া হয়, সেই তথ্যও গোয়েন্দাদের হাতে এসেছে। এখন ‘মোস্ট ওয়ান্টেড’ ওই ব্যক্তিকে খুঁজছে দেশের সব গোয়েন্দা সংস্থা। গত সোমবার র‌্যাবের অতিরিক্ত মহাপরিচালক (অপারেশন্স) কর্নেল কেএম আজাদ বলেন, কুমিল্লা থেকে যেহেতু সারা দেশে সহিংসতার সূত্রপাত, তাই সেখানে কারা কীভাবে এর সঙ্গে জড়িত, তা বের করার বিষয়টি গুরুত্ব দেওয়া হচ্ছে।