নাসিরনগরে নিজের আইডি দিয়ে বন্ধুকে সিম তুলে দিয়ে এখন বিপাকে বন্ধু

- আপডেট সময় : ০৬:৪৬:১৭ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ১১ ফেব্রুয়ারী ২০২২ ১২৯ বার পড়া হয়েছে
ব্রাহ্মণবাড়িয়া প্রতিনিধিঃ ব্রাক্ষণবাড়িয়া জেলার নাসিরনগরে বায়জিদ মোল্লা নামে এক বন্ধুর মন রক্ষা করতে গিয়ে নিজের নামের জাতীয় পরিচয় পত্রদিয়ে সিম তুলে দিয়ে এখন বিপাকে পড়েছে বন্ধু জনি।
ঘটনাটি ঘটেছে উপজেলার ধরমন্ডল ও শ্রীঘরের মাঝে। ঘটনার বিবরণে জানা গেছে ধরমন্ডল গ্রামের মোল্লাবাড়ির হারুন মোল্লার বড় ছেলেকে বিয়ে করায় বুড়িশ্বর ইউনিয়নের শ্রীঘর গ্রামের চৌকিদার বাড়ির মজনু মিয়ার মেয়েকে। বড় ভাইয়ের শ্বশুর বাড়ির সুবাদে বায়জিদ মোল্লা শ্রীঘরে আসা যাওয়া শুরু করে।পরিচয় হয় ভাইয়ের শ্বশুর বাড়ির পাশের ঘরের মৃত ইদন মিয়ার ছেলে জনির সাথে।সম্পর্কে দু জন বিয়াই।
সেই আসা যাওয়ার সুত্রধরে দু জনের মাঝে তৈরী হয় ঘনিষ্ট সম্পর্ক।কিছুদিন পর দু জনে মিলে চাকুরী নেয় ঢাকার একটি হোটেলে।বায়জিদ মোল্লার নিজের নামে এখনো জাতীয় পরিচয় পত্র হয়নি।তাই একটি মোবাইলের জন্য সিম কিনতে বন্ধু জনিকে অনুরোধ করে জনির নিজের নামের জাতীয় পরিচয় পত্রের ফটোকপি দিয়ে একটি সিম তুলে দিতে।সহজ সরল জনি তার বন্ধুর আবদার ফেলে দিতে পারেনি।বন্ধুর আবদারে সরল মনে জনি তাে নিজের পরিচয় পত্র ব্যবহার করে একটি সিম তুলে দেয়।
পরবর্তীতে বায়জিদ মোল্লা ওই সিমটি একটি চোরাই মোবাইলে ব্যবহার করতে থাকে।কিন্তু জনি তা কিছুতেই জানে না।
থানার সাধারণ ডায়েরী সুত্রে জানা গেছে গত ৩০ ডিসেম্ভর ২০২১ তারিখে পাবনা জেলার সাথিয়া থানার, হাড়িঁয়া গ্রামের মোহাম্মদ হোসেন টিক্কার ছেলে মোঃ মোস্তাফিজুর রহমানের (২০) রিয়েলমি ৮- ৫ জি ব্র্যান্ডের একটি মোবাইল সেট হারিয়ে যায়।ওই ঘটনায় মোস্তাফিজুর রহমান বাদি হয়ে সাথিয়া থানার সাধারণ ডায়েরী নং ১২ তারিখ ১ লা জানুয়ারী ২০২২ রুজু করে।
পুলিশ তথ্যপ্রযুক্তির মাধ্যমে অনুসন্ধান চালিয়ে উক্ত মোবাইলে জনির নামের তোলা সিমটি ব্যবহার হচ্ছে এবং মোবাইলটি প্রথমে বায়জিদ মোল্লার ভাইয়ের শ্বশুর বাড়ি শ্রীঘরে ও পরবর্তীতে ধরমন্ড টাওয়ারে ব্যবহৃত হচ্ছে বলে পুলিশের এ এস মোঃ মাহফুজুর রহমান জানিয়েছে।
এবিষয়ে বায়জিদ মোল্লার বড় ভাই মোঃ সেলিম মোল্লাকে জানানো হলে তিনি তার ভাই বায়জিদ মোল্লাকে দুই দিনের ভেতর এনে মোবাইল উদ্ধার করে দেয়ার প্রতিশ্রুতি দিলেও তার ডাকে সাড়া দেয়নি বায়জিদ মোল্লা।পরে ধরমন্ডলের স্থানীয় চেয়ারম্যান মোঃ সফিকুল ইসলাম,মেম্ভার সহ এলাকার গন্যমান্য ব্যাক্তিবর্গদের জানানোর পরে ও স্থানীয়রা জানায়,বায়জিদ মোল্লা চেয়ারম্যানের ঘনিষ্ট লোক হওয়া এ ব্যপারে কোন পদক্ষেপ গ্রহন করেননি চেয়ারম্যান,মেম্ভার ও গন্যমান্য ব্যাক্তি বর্গরা।
উল্লেখ্য যে,দেশবাসী অনেকেই অবগত রয়েছেন যে,ধরমন্ডলের প্রায় দুই শতাদিক মহিলারা দেশের বিভিন্ন স্থান মোবাইল ও স্বর্ণের চেইন চুরি করে থাকে।তাদের নামে দেশের বিভিন্ন থানায় একাদিক মামলা মোকদ্দমাও রয়েছে।জানা গেছে স্থানীয় জনপ্রতিনিধি ও এলাকার প্রভাবশালীরা তাদের এ ধরনের কাজে সহযোগিতা করে আসছে।