যুবলীগ নেতা জহিরকে পুলিশের সামনে থেকে তুলে নিয়ে কুপিয়ে হত্যা

- আপডেট সময় : ০৯:০৫:২৬ পূর্বাহ্ন, বুধবার, ৭ ডিসেম্বর ২০২২ ২৪০ বার পড়া হয়েছে
কুমিল্লার তিতাসে মৎস্য খামার নিয়ে বিরোধের জেরে যুবলীগ নেতা মো. জহিরকে পুলিশের সামনে থেকে তুলে নিয়ে কুপিয়ে নৃশংসভাবে হত্যা করে পতিপক্ষের ভাড়াটে সন্ত্রাসীরা। এ ঘটনায় তিতাস থানার এসআই মো. মাহমুদুল হাসানসহ আরো ৬-৭জন আহত হয়েছে।
ঘটনাটি ঘটে সন্ধ্যায় উপজেলার ভিটিকান্দি ইউনিয়নের মানিককান্দি গ্রামে। নিহত যুবলীগ নেতা মো. জহির ভিটিকান্দি ইউনিয়নের সাবেক চেয়ারম্যান আবুল হোসেন আবু মোল্লার ছেলে।
সূত্রে জানা গেছে, কুমিল্লার তিতাসের ভিটিকান্দি ইউনিয়নের মানিক কান্দি গ্রামে বিকেলে মৎস্য খামার নিয়ে সাবেক মেম্বার সাইফুল ইসলাম ও সাবেক চেয়ারম্যান আবুল হোসেন মোল্লার সমর্থকদের মধ্যে মারামারি শুরু হয়। খবর পেয়ে পরিস্থিতি শান্ত করতে ঘটনাস্থলে পুলিশ পৌছে উভয় পক্ষকে শান্ত রাখার চেষ্টা করে পুলিশ।
এমন সময় সাইফুল মেম্বারসহ তার ভাড়াটে সন্ত্রাসীরা পুলিশের সামনে থেকে যুবলীগ নেতা জহিরকে তুলে নিয়ে বাড়ীর গেইট তালা দিয়ে এলোপাতাড়ি কুপিয়ে মুমুর্ষ অবস্থায় রাস্তায় ফেলে চলে যায়। এসময় তাকে উদ্ধার করতে গিয়ে পুলিশের এসআই মো. মাহমুদুল হাসানসহ উভয়পক্ষের অন্তত ৬/৭জন আহত হন।
যুবলীগ নেতা জহিরকে উদ্ধার করে প্রথমে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে পরে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।
এদিকে ঘটনা ভিন্নখাতে প্রবাহিত করতে সাইফুল মেম্বারের বসত ঘরের ভিতরে আগুণ লাগিয়ে পালিয়ে যায়। পরে স্থানীয় লোকজন ও ফায়ার সার্ভিসের কর্মীরা আগুন নিয়ন্ত্রণে আনে। এই ঘটনায় এলাকায় উত্তেজনা বিরাজ করছে। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে।
তিতাস থানার অফিসার ইনচার্জ সুধীন চন্দ্র দাস সাংবাদিকদের বলেন, ভিটিকান্দিতে দুই পক্ষের মারামারির খবর শুনে পুলিশ ঘটনাস্থলে যায়। সেখানে এক পক্ষের সাথে কথা বলার সময় অপর পক্ষ হামলা করে। এসময় আমাদের পুলিশ সদস্যও আহত হয়েছে। তবে শুনেছি আহত একজন মারা গেছে।