আশুলিয়ায় স্ত্রীকে জবাই, লজ্জা স্থান কর্তন

- আপডেট সময় : ০৬:২৯:২৭ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ২০ জুন ২০২৩ ৭৭ বার পড়া হয়েছে
আশুলিয়ায় দাম্পত্য কলহের জেরে স্ত্রীকে জবাই করে লজ্জা স্থান কর্তন করেছে পাষন্ড স্বামী। এঘটনার পর থেকে ৪বছরের শিশু ছেলেকে নিয়ে পালিয়েছে স্বামী।
মঙ্গলবার সকালে আশুলিয়ার নয়াপাড়া এলাকার একটি ফ্ল্যাট বাড়ির পঞ্চম তলা থেকে এই নারীর মরদেহ উদ্ধার করা হয়।
নিহতের নাম সুমি আক্তার (২৩), গোবিন্দগঞ্জ জেলার গাইবান্ধা থানার মুকুন্দপুর গ্রামের নয়া মিয়ার মেয়ে। স্বামী ফারুক (২৭) একই জেলার তৈইবর রহমানের ছেলে। তারা আশুলিয়ার নয়াপাড়া এলাকায় ভাড়া বাসায় থেকে একটি পোশাক কারখানায় কাজ করতো।
নিহতের পরিবার জানায়, পাঁচ তলার একটি ভাড়া ফ্ল্যাটে নিহত শিমু তার স্বামী ফারুক ও চার বছরের ছেলে সিয়ামকে নিয়ে বসবাস করে আসছিলো। পাশের আরেকটি ফ্ল্যাটে শিমুর বড় বোন লাভলী ও তার খালা থাকেন। শিমু ও তার স্বামী ফারুকসহ সবাই স্থানীয় একটি গার্মেন্টেসে চাকরি করতো। মঙ্গলবার ভোরে গার্মেন্টেসে যাওয়ার সময় ডাকতে গেলে শিমুর ফ্ল্যাটের দরজা বাইরে থেকে আটকানো অবস্থায় দেখতে পায় তার বড় বোন। এসময় দরজা খুলে ভিতরে প্রবেশ করলে বাথরুমে শিমুর রক্তাক্ত গলাকাটা মরদেহ দেখতে পেয়ে পুলিশে খবর দেয় তারা। পরে পুলিশ মরদেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য রাজধানীর শহীদ সোহরাওয়ার্দী মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল মর্গে পাঠায়। তারা আরও জানায়, কিছুদিন পূর্বে স্বামী ফারুক ও তার স্ত্রী শিমুর মধ্যে ঝগড়া হয়। এসময় শিমুকে তার স্বামী গলাটিপে ধরেছিলো বলেও আমাদের জানিয়েছিলো। পরবর্তীতে বিষয়টি পারিবারিক ভাবে মিমাংসা হলে শিমু ১৫ দিন আগে ঢাকা এসে গার্মেন্টেসে চাকরি নেয়। এরপরেই স্বামী ফারুক তাকে হত্যা করে পালিয়েছে। আমরা এই হত্যাকাণ্ডের বিচার চাই।
এবিষয়ে আশুলিয়া থানার এসআই (উপ-পরিদর্শক) আবুল হাসান জানান, দাম্পত্য কলহের জেরেই স্ত্রীকে হত্যার পর তার স্বামী ফারুক পালিয়ে গেছে বলে ধারণা করা হচ্ছে। নিহতের গলায় ও শরীরের বিভিন্ন স্থানে ধারালো অস্ত্রের আঘাতের চিহ্ন রয়েছে। এঘটনায় একটি হত্যা মামলা দায়েরের প্রস্তুতি চলছে।