আশুলিয়ায় মাদক সম্রাজ্ঞী ফিরোজার রমরমা ব্যবসা

- আপডেট সময় : ১২:৩৬:৪৮ পূর্বাহ্ন, শুক্রবার, ২৯ অক্টোবর ২০২১ ১৯১ বার পড়া হয়েছে
সাভার প্রতিনিধিঃ এবারের গল্পটাই যেনো ভিন্ন স্বামী রিক্সা চালক আর স্ত্রী ফিরুজা বেগম বাসাবাড়ির কাজের বুয়া। টাঙ্গাইল জেলার গোপালপুর দড়িসা গ্রামে ইটের বিলাশ বহুল দালান-কোঠা তৈরি করে বাড়ির ঘিরে সিসি ক্যামেরা।
কী তার উপার্জণ আর কীবা তার ব্যবসা। এমনি অভিযোগের ভিত্তিতে দীর্ঘদিনের অনুসন্ধানে উঠে আসে এই মাদক সম্রাজ্ঞী ফিরুজা বেগমের অবৈধভাবে চলাফেরার জীবন কাহিনী।
একজন দিনমজুর আকব্বর আলীর অপ্রতিরোধ্য স্ত্রী ফিরোজা বাসা বাড়ির কাজ করেও মাদক ব্যবসাকে পুঁজি করে আজ ক্ষমতাধরের খাতায় নাম লিখিয়েছে।
টাঙ্গাইলের দড়িসয়া গ্রামের খেতে পড়তে না পাড়া সেই ফিরোজা অর্ধাহারে অনাহারে থেকে দিন মজুর স্বামীকে নিয়ে কাজের উদ্দেশ্যে আশুলিয়ার জামগড়া এলাকার মেশারফ ম্যানশন নামের একটি বাড়ির কক্ষ ভাড়া নিয়ে বাড়ির মালিকের ক্ষমতাকে কেন্দ্র করে বছর দশেক আগে শুরু করেন এই জীবন ঘাতি মাদকের রমরমা ব্যবসা।
আশুলিয়া থেকে টাঙ্গাইলের গোপালপুরের মাদক সম্রাজ্ঞী হিসেবে স্বীকৃত এই ফিরোজা। কয়েকবার আইন- শৃঙ্খলা বাহীনির হাতে গ্রেফতার হলেও আইনের ফাঁকফোকড় দিয়ে বেড়িয়ে আসেন এই মাদক সম্রাজ্ঞী।
তার ক্ষমতা ও টাকার দাপটে আজ আতঙ্কিত গোপালপুরবাসী। এই মাদক সম্রাজ্ঞীর বিরুদ্ধে কেউ কোন প্রতিবাদ করতে গেলেই তাদেরকে শিকার হতে হয় মিথ্যা মামলা ও হামলার। এক কথায় তার কাছে জিম্মি এলাকাবাসী।
এরই প্রেক্ষিতে মাদক বিরোধী সাংবাদিক সম্মেলন মাদক নির্মুলের দাবিতে ও মাদক ব্যবসায়ীদের দ্বারা মিথ্যা হয়রানি মূলক মামলা বন্ধের দাবিতে সামাজিক প্রতিরোধ গড়ে তোলেন ঐ গ্রামের এলাকাবাসী ও যুবসমাজ।
ভুক্তভোগী এলাকাবাসী অভিযোগ করে বলেন, ফিরোজা বেগম দড়িসা গ্রামের দিনমজুর আকবর আলীর স্ত্রী। টাকার নেশায় নিজ গ্রাম ছেড়ে পাড়ী জমায় ঢাকার আশুলিয়ায়।
আশুলিয়ার জামগড়ার মনির মার্কেট এলাকায় ঘাপটি দিয়ে সে দীর্ঘদিন ধরে মাদক বিক্রি আসছে। পরবর্তীতে করোনা কালীন সময়ে শহর থেকে গ্রামে এসেও শুরু করে মাদকের রমরমা ব্যবসা।
ছেলে-মেয়েরাই হলো তার সহযোগী। আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীর কাছে বারবার গ্রেফতার হলেও আইনের ফাঁকফোকড় দিয়ে বেড়িয়ে পড়ে দীর্ঘদিন ধরে কৌঁশলে গ্রামের বিভিন্ন স্থানে মাদকদ্রব্য বিক্রি করে আসছিলো। যারফলে, এলাকার যুব সমাজ মাদকের ছোবলে পড়ে ধ্বংসের দ্বাড় প্রান্তে পৌঁছেছে।
ঢাকার আশুলিয়ার জামগড়া এলাকায় অনুসন্ধানে গেলে স্থানীয় এক ব্যাক্তি জানায়, আমাদের এলাকায় দীর্ঘদিন ধরে মাদক ব্যবসা করে আসছিলো এই ফিরোজা বেগম। আমরা বাঁধা সৃষ্টি করেও এই মহিলাটাকে থামাতে পারি নাই।
তার দুই ছেলে-মেয়ে এই মাদক ব্যবসার সাথে জড়িত। কিছুদিন আগেও আশুলিয়া থানা পুলিশ তাদের সবাইকে গ্রেফতার করে নিয়ে যায়। কিন্তু কিভাবে যে আইনের ফাঁকফোকড় দিয়ে বেড়িয়ে আসে তা বোধগম্য নই।
এবিষয়ে দড়িসা গ্রামের ইউপি মেম্বার আব্দুস সামাদ বলেন, পূর্ব ইতিহাস তারা আগে জামগড়ায় থাইকা কাম কাজ করছে ও মাটিমুটি কাটছে।
১৫ থেকে ২০ বছর যাবত সেখানেই থাকতো তারা। তার দুই ছেলে এইখানে গাজা বিক্রিসহ আরো বিভিন্ন মাদক দ্রব্য বিক্রি কালে ওদেরকে পুলিশে ধরে।
ফিরোজা বেগমের মোবাইল ফোনে যোগাযোগ করা হলে লাখি আক্তার নামে তার মেয়ে ফোন রিসিভ করে বলেন, আমার বাবা একজন রিক্সা চালক আর মা বাসা বাড়িতে কাজ করেন। আমার মা এই ব্যবসার সাথে জড়িত নয়।