ঢাকা ০৫:৪২ পূর্বাহ্ন, সোমবার, ০৪ ডিসেম্বর ২০২৩, ১৯ অগ্রহায়ণ ১৪৩০ বঙ্গাব্দ
সর্বশেষ ::
যুক্তরাজ্যে বাংলাদেশের হাইকমিশনার সাইদা মুনা তাসনিম আইএমও এর প্রথম ভাইস প্রেসিডেন্ট নির্বাচিত খানবাহাদুর আহ্ছানউল্লা’র আদর্শ বাস্তবায়ন তরুনদের উদ্বুদ্ধ করতে হবে নড়াইল-১আসনে আবারো আ’লীগের মনোনয়ন পেলেন বিএম কবিরুল হক মুক্তি খানবাহাদুর আহ্ছানউল্লা ছিলেন বহুমাত্রিকগুনের অধিকারী : অধ্যাপক ড. এম শমসের আলী ফের নৌকার টিকিট পেলেন রাজী মোহাম্মদ ফখরুল পি‌রোজপু‌রে ফেজবু‌কে স্টাটার্স দি‌য়ে অনার্স পড়ুয়া ছা‌ত্রের আত্মহত্যা যেভাবে জানা যাবে এইচএসসির ফল > How to know HSC result নেত্রকোণা -২ আসনে আওয়ামী লীগের মনোনয়ন প্রত্যাশী ওমর ফারুক জনপ্রিয়তার শীর্ষে চাটখিলে যুবলীগের ৫১ তম প্রতিষ্ঠা বার্ষিকী পালিত দিনব্যাপী গণসংযোগ করলেন নৌকার মনোনয়ন প্রত্যাশী শাহ্ কুতুবউদ্দিন তালুকদার রুয়েল

১৪ই ডিসেম্বর সাভার হানাদার মুক্ত দিবস

প্রতিনিধির নাম
  • আপডেট সময় : ০১:০১:৫৬ পূর্বাহ্ন, মঙ্গলবার, ১৪ ডিসেম্বর ২০২১ ১৯২ বার পড়া হয়েছে
দেশের সময়২৪ অনলাইনের সর্বশেষ নিউজ পেতে অনুসরণ করুন গুগল নিউজ (Google News) ফিডটি

সাভার প্রতিনিধিঃ সাভার ও আশুলিয়াবাসীর জন্য ১৪ই ডিসেম্বর গৌরবের দিন। ১৯৭১ সালের ১৪ই ডিসেম্বর পাক হানাদার থেকে মুক্ত হয় সাভার ও আশুলিয়া। এই দিনে কিশোর মুক্তিযোদ্ধা গোলাম দস্তগীর টিটোর রক্তে মুক্ত হয় এই অঞ্চলের বিভিন্ন স্থান।

টিটোকে ঢাকা-আরিচা মহাসড়কের সাভারের জাহাঙ্গীরনগর ডেইরি ফার্ম মুল ফটক সংলগ্ন সমাহিত করা হয়। এই দিনটিকে ঘিরে তার সমাধিতে ফুল অর্পণের মধ্য দিয়ে শ্রদ্ধা জানিয়ে আসছেন স্থানীয় সাংবাদিকসহ গণ্যমান্য ব্যক্তিবর্গ।

বীর মুক্তিযোদ্ধাদের সাথে কথা বলে যায়, টাঙ্গাইল থেকে বিতাড়িত হওয়ার পর পাক হানাদার বাহিনী সাভার ও আশুলিয়ায় ঘাঁটি নির্মাণ করে। ১৪ই ডিসেম্বর আশুলিয়ার জিরাবো এলাকার ঘোষবাগ কাঠালবাগান এলাকায় নাসির উদ্দিন ইউসুফ বাচ্চুর নেতৃত্বে পাক হানাদারদের উপরে ঝাঁপিয়ে পড়েন তারা।

এসময় মুক্তিযোদ্ধা ও হানাদার বাহিনীর মধ্যে যুদ্ধের এক পর্যায়ে সহযোদ্ধাদের নিষেধ উপেক্ষা করে সামনে এগিয়ে যাওয়ার সময় পাকবাহিনীর গুলিতে নিহত হন কিশোর মুক্তিযোদ্ধা গোলাম দস্তগীর টিটো। এই দিনে সারাদেশের মত ১৯৭১সালের মহান মুক্তিযুদ্ধে নিজেদের অধিকার আদায়ের জন্য লড়েছিলেন সাভারের প্রায় আড়াইশ নিরস্ত্র মুক্তিযোদ্ধা।

এক পর্যায়ে মুক্তিযোদ্ধা ও পাকবাহিনীর মধ্যে সম্মুখযুদ্ধ শুরু হয়। প্রায় কয়েক ঘণ্টা যুদ্ধের পর পাকবাহিনী পালাতে থাকে। বিজয় নিশ্চিত জেনে আবেগাপ্লুত কিশোর মুক্তিযোদ্ধা গোলাম দস্তগীর টিটো লাফিয়ে উঠলে পালিয়ে যাওয়ারত পাকবাহিনীর ছোঁড়া গুলিতে শহীদ হন তিনি।

পরে তাকে জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদালয়ের ডেইরিগেটে সমাহিত করা হয়। আর কিশোর মুক্তিযোদ্ধা টিটোর আত্মত্যাগের মধ্যে দিয়েই ১৪ই ডিসেম্বর সাভার ও আশুলিয়া হানাদার মুক্ত হয়।

নিউজটি শেয়ার করুন

আপনার মন্তব্য

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার ইমেইল এবং অন্যান্য তথ্য সংরক্ষন করুন

১৪ই ডিসেম্বর সাভার হানাদার মুক্ত দিবস

আপডেট সময় : ০১:০১:৫৬ পূর্বাহ্ন, মঙ্গলবার, ১৪ ডিসেম্বর ২০২১

সাভার প্রতিনিধিঃ সাভার ও আশুলিয়াবাসীর জন্য ১৪ই ডিসেম্বর গৌরবের দিন। ১৯৭১ সালের ১৪ই ডিসেম্বর পাক হানাদার থেকে মুক্ত হয় সাভার ও আশুলিয়া। এই দিনে কিশোর মুক্তিযোদ্ধা গোলাম দস্তগীর টিটোর রক্তে মুক্ত হয় এই অঞ্চলের বিভিন্ন স্থান।

টিটোকে ঢাকা-আরিচা মহাসড়কের সাভারের জাহাঙ্গীরনগর ডেইরি ফার্ম মুল ফটক সংলগ্ন সমাহিত করা হয়। এই দিনটিকে ঘিরে তার সমাধিতে ফুল অর্পণের মধ্য দিয়ে শ্রদ্ধা জানিয়ে আসছেন স্থানীয় সাংবাদিকসহ গণ্যমান্য ব্যক্তিবর্গ।

বীর মুক্তিযোদ্ধাদের সাথে কথা বলে যায়, টাঙ্গাইল থেকে বিতাড়িত হওয়ার পর পাক হানাদার বাহিনী সাভার ও আশুলিয়ায় ঘাঁটি নির্মাণ করে। ১৪ই ডিসেম্বর আশুলিয়ার জিরাবো এলাকার ঘোষবাগ কাঠালবাগান এলাকায় নাসির উদ্দিন ইউসুফ বাচ্চুর নেতৃত্বে পাক হানাদারদের উপরে ঝাঁপিয়ে পড়েন তারা।

এসময় মুক্তিযোদ্ধা ও হানাদার বাহিনীর মধ্যে যুদ্ধের এক পর্যায়ে সহযোদ্ধাদের নিষেধ উপেক্ষা করে সামনে এগিয়ে যাওয়ার সময় পাকবাহিনীর গুলিতে নিহত হন কিশোর মুক্তিযোদ্ধা গোলাম দস্তগীর টিটো। এই দিনে সারাদেশের মত ১৯৭১সালের মহান মুক্তিযুদ্ধে নিজেদের অধিকার আদায়ের জন্য লড়েছিলেন সাভারের প্রায় আড়াইশ নিরস্ত্র মুক্তিযোদ্ধা।

এক পর্যায়ে মুক্তিযোদ্ধা ও পাকবাহিনীর মধ্যে সম্মুখযুদ্ধ শুরু হয়। প্রায় কয়েক ঘণ্টা যুদ্ধের পর পাকবাহিনী পালাতে থাকে। বিজয় নিশ্চিত জেনে আবেগাপ্লুত কিশোর মুক্তিযোদ্ধা গোলাম দস্তগীর টিটো লাফিয়ে উঠলে পালিয়ে যাওয়ারত পাকবাহিনীর ছোঁড়া গুলিতে শহীদ হন তিনি।

পরে তাকে জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদালয়ের ডেইরিগেটে সমাহিত করা হয়। আর কিশোর মুক্তিযোদ্ধা টিটোর আত্মত্যাগের মধ্যে দিয়েই ১৪ই ডিসেম্বর সাভার ও আশুলিয়া হানাদার মুক্ত হয়।