মাদ্রাসা শিক্ষক করিমের প্রেমের ছলনা মারধর অপমানে আত্মহত্যা

- আপডেট সময় : ১০:৪৯:৩৬ পূর্বাহ্ন, মঙ্গলবার, ২১ জুন ২০২২ ২৩৯ বার পড়া হয়েছে
আলমগীর সরকার, ময়মনসিংহঃ ময়মনসিংহের গফরগাঁওয়ে মিতু আক্তার (২৩) নামে এক শিক্ষার্থীর ঝুলন্ত লাশ উদ্ধার করেছে পুলিশ।
সোমবার (২০ জুন) সকালে উপজেলার মশাখালী ইউনিয়নের মুখি মধ্যপাড়া এলাকা থেকে তার লাশ উদ্ধার করা হয়।
মিতু ওই এলাকার তারা মিয়ার মেয়ে ও গফরগাঁও সরকারি কলেজের অনার্স তৃতীয় বর্ষের ব্যাণিজ্য বিভাগের ছাত্রী।
পরিবার সূত্রে জানা গেছে, মিতুর সঙ্গে প্রতিবেশী আব্দুল করিমের প্রেমের সম্পর্ক ছিল। আব্দুল করিম ওই এলাকার জাহেদ আলী শেখের ছেলে এবং পার্শ্ববর্তী রাউনা ইউনিয়নের দিঘা দাখিল মাদ্রাসার শিক্ষক।
ঘটনার দিন সকালে মায়ের সঙ্গে আব্দুল করিমের বাড়িতে যান মিতু। এ সময় তিনি আব্দুল করিমকে বিয়ে করার কথা বলেন। তবে করিম প্রথমে মিতুকে বোঝানোর চেষ্টা করে ব্যর্থ হন। এ নিয়ে দুজনের মধ্যে তর্ক হয়।
একপর্যায়ে আব্দুল করিম ও তার বাড়ির লোকজন মিতুকে মারধর করেন। পরে মিতু ও তার মাকে টেনেহিঁচড়ে তাদের বাড়িতে নিয়ে রেখে আসেন।
এর কিছুক্ষণ পর কাউকে কিছু না বলে মিতু বাড়ি থেকে বের হয়ে যান এবং মুখি মধ্যপাড়া মিলন বেপারির বাড়ির পেছনে একটি গাছের ডালে ওড়না পেঁচিয়ে আত্মহত্যা করেন। খবর পেয়ে পুলিশ এসে মিতুর লাশ উদ্ধার করে।
ঘটনার পর থেকে অভিযুক্ত মাদ্রাসা শিক্ষক আব্দুল করিম পলাতক রয়েছেন।
নিহতের মা শেফালী খাতুন বলেন,সকালে মেয়েকে নিয়ে শিক্ষক করিমের বাড়িতে যাই। এ সময় করিম কে বিয়ে করতে বলে মিতু। কিন্তু করিম তাকে বিয়ে করবে না বলে জানায়। পরে করিম ও তার বাড়ির লোকজন মিতুকে এবং আমাকে মারধর করে টেনেহিঁচড়ে বাড়ি থেকে বের করে দেন। অপমান সইতে না পেরে সে আত্মহত্যা করেছে।
পাগলা থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মোঃ রাশেদুজ্জামান বলেন,লাশ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল মর্গে পাঠানো হয়েছে। অভিযোগ ও ময়নাতদন্তের ভিত্তিতে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।