যে কারণে আত্মহত্যা করলেন স্কুলশিক্ষক

- আপডেট সময় : ০৯:৪৯:৫২ অপরাহ্ন, সোমবার, ২৮ ফেব্রুয়ারী ২০২২ ১৪২ বার পড়া হয়েছে
ডেস্ক রিপোর্টঃ রাজশাহীর বাঘায় মাথার যন্ত্রণা সহ্য করতে না পেরে অমুল্য চন্দ্র প্রামাণিক (৫৪) নামের এক স্কুলশিক্ষক আত্মহত্যা করেছেন। সোমবার নিজ বাড়িতে তিনি বিষপানে আত্মহত্যা করেন।
অমুল্য চন্দ্র উপজেলার বাউসা ইউনিয়নের বেনুপুর গ্রামের মৃত সুরেন্দ্রনাথ প্রামাণিকের ছেলে। তিনি তেঁথুলিয়া উচ্চ বিদ্যালয়ের বিএসসি শিক্ষক ছিলেন।
জানা যায়, স্কুলশিক্ষক অমুল্য চন্দ্র প্রামাণিক দীর্ঘদিন থেকে মাথার যন্ত্রণায় ভুগছিলেন। তিনি বিভিন্ন স্থানে চিকিৎসা নিয়েও ভালো হয়নি। রোববার সকালে তাকে বাড়িতে রেখে স্ত্রী বাবার বাড়িতে বেড়াতে যান।
তারপর থেকে তার মাথার যন্ত্রণা বাড়তে থাকে। বাড়িতে কেউ না থাকায় তিনি বিষপান করেন। পরে তাকে উদ্ধার করে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে যাওয়া হয়।
এ সময় কর্তব্যরত চিকিৎসক তার অবস্থা বেগতিক দেখে রাজশাহী মেডিকেল হাসপাতালে স্থানান্তর করেন। তাকে রাজশাহী মেডিকেলে নেওয়ার পথেই মারা যান।
এ বিষয়ে অমুল্য চন্দ্র প্রামাণিকের ভাতিজা বিপ্লব চন্দ্র প্রামাণিক জানান, সোমবার সকালে চাচা বাড়ি থেকে বাইরে বের না হওয়ার আমি তার বাড়িতে গিয়ে দেখি চাচা বিছানায় শুয়ে আছেন।
আমি সেখানে গিয়ে দেখি, চাচার মুখ দিয়ে ফ্যানা বের হচ্ছে এবং বিষের গন্ধ বের হচ্ছে। এ সময় সেখানে একটি বিষের বোতল পড়ে ছিল। আমি বিষয়টি বুঝতে পেরে স্থানীদের সহায়তায় উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে যাই।
এ সময় কর্তব্যরত চিকিৎসক চাচার অবস্থা বেগতিক দেখে রাজশাহী মেডিকেল হাসপাতালে স্থানান্তর করেন। চাচাকে নিয়ে রাজশাহী মেডিকেলে নেওয়ার পথেই মারা যান। তবে চাচা দীর্ঘদিন থেকে মাথা ও মানসিক যন্ত্রণায় ভুগছিলেন।
বাউসা ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান নুর মোহাম্মদ তুফান বলেন, তিনি কিছু ঋণগ্রস্ত হয়েছিলেন। আমার সঙ্গে শিক্ষকের সপ্তাহখানেক আগে কথা হয়েছিল, তার যা ঋণ ছিল পরিশোধ হয়ে গেছে।
কিন্তু ওষুধ খেয়েও মাথার যন্ত্রণা ভালো হচ্ছিল না এমনটাই জানিয়েছিলেন বলে তিনি জানান।
বাঘা থানা ওসি সাজ্জাদ হোসেন বলেন, এ ঘটনায় থানায় একটি ইউডি মামলা দায়ের করা হয়েছে।