দিনাজপুরে পুলিশ কনস্টেবল নিয়োগ পরীক্ষায় ভূয়াপরীক্ষার্থী ও প্রতারক চক্রের ১৭ জন সদস্যকে গ্রেফতার করেছে দিনাজপুর জেলা পুলিশ।

এ সময় ট্রেইনি রিক্রুট কনস্টেবল (টিআরসি) নিয়োগের ছয়টি প্রবেশপত্র, ১০০ টাকা মূল্যমানের ৯ টি ননজুডিসিয়াল ফাঁকা স্ট্যাম্প, বিভিন্ন ব্যাংকের চারটি ফাঁকা চেকের পাতা, প্রতারক চক্রের ব্যবহৃত একটি মাইক্রোবাস ও নগদ ৫০ হাজার টাকা জব্দ করে পুলিশ।

বৃহস্পতিবার (২৩ ফেব্রুয়ারি) দুপুরে দিনাজপুর পুলিশ সুপার কার্যালয়ে প্রেস ব্রিফিংয়ে এ তথ্য নিশ্চিত করে দিনাজপুর জেলা পুলিশ সুপার শাহ ইফতেখার আহমেদ বলেন দিনাজপুরে পুলিশ ট্রেইনি রিক্রুট কনস্টেবল (টিআরসি) নিয়োগের জন্য ১১-১৩ ফেব্রুয়ারি যাচাই-বাছাই কার্যক্রম অনুষ্ঠিত হয়। যারা এ যাচাইয়ে উর্ত্তীণ হন তাদের লিখিত পরীক্ষা ১৮ ফেব্রুয়ারি অনুষ্ঠিত হয়। উক্ত লিখিত পরীক্ষার হলে প্রবেশের সময় শিক্ষার্থী যাচাই-বাছাই কালে মোঃ শহিদুল ইসলাম নামীয় পরীক্ষার্থীকে সন্দেহ হলে তাকে ব্যাপক জিজ্ঞাসাবাদ করা হয় জিজ্ঞাসাবাদের একপর্যায়ে জানা যায় তার প্রকৃত নাম তারেক রহমান।। তিনি ভুয়া পরীক্ষার্থী হিসেবে পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করেছেন। ধৃত তারেক রহমান প্রকৃত পরীক্ষার্থী মোঃ শহিদুল ইসলাম সহ জালিয়াতিচক্রে জড়িত পজিরুল ও মোঃ মহসিন সহ চারজনের বিরুদ্ধে কোতোয়ালি থানায় একটি মামলা দায়ের করা হয়। মামলা নং ৫৬। মামলাটি আমলে নিয়ে পুলিশ সুপার শাহ ইফতেখার আহমেদ পিপিএম এর তত্ত্বাবধানে অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (প্রশাসন) মোঃ মমিনুল করিম, ও অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (ক্রাইম এন্ড অপস) আব্দুল্লাহ আল মামুন,এর সমন্বিত পরিকল্পনায় অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (সদর সার্কেল) জিন্নাহ আল মামুন এর নেতৃত্বে ডিবি টিমের পুলিশ পরিদর্শক মোঃ ফারুকুল ইসলামসহ একটি চৌকস টিমকে অভিযানের দায়িত্ব দেওয়া হয় তারই ধারাবাহিকতায় তিনদিন ব্যাপী দিনাজপুর, রংপুর, নীলফামারী, কুড়িগ্রাম ও ঠাকুরগাঁও জেলার বিভিন্ন এলাকায় অভিযান পরিচালনা করে এজাহার নামীয় সহ মোট ১২ জনকে গ্রেফতার করা হয়। এ সময় ট্রেইনি রিক্রুট কনস্টেবল (টিআরসি) নিয়োগের ছয়টি প্রবেশপত্র, ১০০ টাকা মূল্যমানের ৯ টি ননজুডিসিয়াল ফাঁকা স্ট্যাম্প, বিভিন্ন ব্যাংকের চারটি ফাঁকা চেকের পাতা, প্রতারক চক্রের ব্যবহৃত একটি মাইক্রোবাস ও নগদ ৫০ হাজার টাকা জব্দ করে পুলিশ। গ্রেফতারদের মধ্যে ছয়জন পরীক্ষার্থী, একজন ভুয়া পরীক্ষার্থী ও পাঁচজন দালাল চক্রের সদস্য।এদের মধ্যে পাঁচজন কারাগারে আছে।আদালতের মাধ্যমে তাদের জেল হাজতে প্রেরণ করা হবে।

গ্রেফতারকৃতরা হলে বিরল উপজেলার ধর্মপুর কৈকুড়ি গ্রামের ফিরোজ আলীর ছেলে আব্দুল কুদ্দুস (৩৮), নীলফামারী সদর উপজেলার বেড়াডাঙ্গা গ্রামের মৃত আনোয়ার হোসেনের ছেলে মিশকাতুল ইসলাম (২৩), ঠাকুরগাঁও সদর উপজেলার সালন্দার কচুবাড়ী গ্রামের খলিলুর রহমানের ছেলে রোকনুজ্জামান (৩০), রংপুরের মিঠাপুকুর উপজেলার হেলেঞ্চার সালটির হাট গ্রামের নাজমুল হকের ছেলে নাহিদ ইউসুফ (১৮), একই উপজেলার সালটি পাড়া গ্রামের বাটুল সরকারের ছেলে শাহরিয়ার সরকার (১৮), রংপুর সদর উপজেলা রহরিদাতপুর গ্রামের কারিমুল ইসলামের ছেলে মিষ্টার রহমান (১৮), রংপুরের গঙ্গাচড়া উপজেলার মদবাই পাড়া গ্রামের আব্দুল ওয়াহেদের ছেলে মোহাইমেনুল (১৮), রংপুরের মিঠাপুকুর উপজেলার ফুলচৌকি গ্রামের রুহুল আমিনের ছেলে রাজা মিয়া (১৮), কুড়িগ্রামের উলিপুর উপজেলার মোকছেদ আলীর ছেলে মিজানুর রহমান (১৮), ঠাকুরগাঁও সদর উপজেলার শিংপাড়া গ্রামের সিরাজুল ইসলামের ছেলে পজিরুল ইসলাম (৪৩), জগন্নাথপুর গ্রামের মৃত সাইদুর রহমানের ছেলে সাইফুল রহমানের ছেলে সাইফুল ইসলাম রিপন (৩৫) ও একই গ্রামের মৃত আব্বাস আলীর ছেলে মহসীন আলম (৩৫)।