স্টাফ রিপোর্টার সুনামগঞ্জঃ এনটিআরসি’র শিক্ষক নিবন্ধন সনদ জালিয়াতি করে হুসাইন আহম্মদ শাহিদী নামের শিক্ষক চাকুরী করেছেন বলে জেলা মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তার বরাবরের লিখিত অভিযোগ করা হয়েছে । ঘটনাটি ঘটেছে সুনামগঞ্জ জেলার শাল্লা উপজেলা সদরে অবস্থিত সুনামধন্য শাহীদ আলী উচ্চ বিদ্যালয়ে।

এবিষয়ে উপজেলার কান্দিগাঁও গ্রামের মৃত কিতাব আলীর ছেলে মোঃ ইকরামুল হোসেন ১৭ নভেম্বর জেলা মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তা বরাবরে লিখিত অভিযোগ করেন। অভিযোগে আরো উল্লেখ করা হয়, বিগত ২০১০ সালের ১৭ আগষ্ট তারিখে ইনডেক্স নাম্বার -১০৫২০৮৬ এনটিআরসি এর শিক্ষক নিবন্ধন সনদের রোল নং ১০৭২৫০১৮ দেখিয়ে হুসাইন আহম্মদ শাহিদী উক্ত বিদ্যালয়ে মৌলভী শিক্ষক হিসেবে যোগদান করেন।

অনুসন্ধানে দেখা যায় এনটিআরসি এর সনদের উক্ত রোল নাম্বার টি মোঃ হাফিজুর রহমান নামের অন্য এক ব্যক্তির। যা সম্পুর্ন বেআইনি ও জালিয়াতির আশ্রয় নেওয়া হয়েছে বলে অভিযোগে উল্লেখ করা হয়। এনিয়ে অভিযোগকারী ইকরামুল হোসেন বলেন, হুসাইন আহম্মদ শাহিদী এলাকার খুব প্রভাবশালী মানুষ। তার ভয়ে কেউ কথা বলতে সাহস পায়না।

আমি বহুদিন যাবত এনিয়ে বিভিন্ন জায়গায় যোগাযোগ করেছি। সবাই আমাকে বলেছেন ভুয়া সনদ দিয়ে চাকুরী করেছেন অথচ কেউ কোন ভূমিকা নিচ্ছে না কেন। অবশেষে গুরুত্বপুর্ন এ বিষয়টির সঠিক তদন্ত সাপেক্ষে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ গ্রহণ করার জন্য সরকারের সংশ্লিষ্ট দপ্তরে লিখত অভিযোগ করেছি। এতে আপনার কি উপকার হবে জানতে চাইলে তিনি বলেন, সরকারের উপকার হলেই তো আমার উপকার।

একজন সঠিক সনদ পেয়ে ও চাকুরী পাচ্ছেনা, আর শাহিদী ভূয়া কাগজ দিয়ে চাকুরী করবে, আবার প্রভাবও দেখাবে সেটি কি করে হয়। একদিকে বেআইনি কাজ অন্য দিকে বেতনের নামে প্রতারণা করে সরকারের টাকা আত্মসাতের মাধ্যমে সে এখন কোটি । সব কিছু বিবেচনা করেই আমি একজন সচেতন নাগরিক হিসেবে অভিযোগ করেছি বলে জানান তিনি।

এনিয়ে শিক্ষক হুসাইন আহম্মদ শাহিদীর ব্যক্তিগত ফোন ০১৭২৯১৩২৬৩৩ নাম্বারে ১৭ নভেম্বর রাত সাড়ে ৮ টায় বার বার ফোন দিলেও তিনি ফোন রিসিভ করেননি। এব্যপারে শাহীদ আলী উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক আরিফ মোহাম্মদ দুলালের সঙ্গে ফোনে কথা হলে তিনি জানান , অভিযোগের বিষয়ে তিনি অবগত নয় ।

এবিষয়ে জেলা শিক্ষা কর্মকর্তা জাহাঙ্গীর আলমের সাথে কথা হলে অভিযোগের সত্যতা পাওয়া যায়। তিনি জানান অভিযোগের বিষয়টি সঠিক তদন্তপুর্বক পরবর্তী প্রয়োজনী ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে বলে জানান।