ঢাকা ০৩:৩৫ অপরাহ্ন, সোমবার, ১১ ডিসেম্বর ২০২৩, ২৭ অগ্রহায়ণ ১৪৩০ বঙ্গাব্দ
সর্বশেষ ::
যুক্তরাজ্যে বাংলাদেশের হাইকমিশনার সাইদা মুনা তাসনিম আইএমও এর প্রথম ভাইস প্রেসিডেন্ট নির্বাচিত খানবাহাদুর আহ্ছানউল্লা’র আদর্শ বাস্তবায়ন তরুনদের উদ্বুদ্ধ করতে হবে নড়াইল-১আসনে আবারো আ’লীগের মনোনয়ন পেলেন বিএম কবিরুল হক মুক্তি খানবাহাদুর আহ্ছানউল্লা ছিলেন বহুমাত্রিকগুনের অধিকারী : অধ্যাপক ড. এম শমসের আলী ফের নৌকার টিকিট পেলেন রাজী মোহাম্মদ ফখরুল পি‌রোজপু‌রে ফেজবু‌কে স্টাটার্স দি‌য়ে অনার্স পড়ুয়া ছা‌ত্রের আত্মহত্যা যেভাবে জানা যাবে এইচএসসির ফল > How to know HSC result নেত্রকোণা -২ আসনে আওয়ামী লীগের মনোনয়ন প্রত্যাশী ওমর ফারুক জনপ্রিয়তার শীর্ষে চাটখিলে যুবলীগের ৫১ তম প্রতিষ্ঠা বার্ষিকী পালিত দিনব্যাপী গণসংযোগ করলেন নৌকার মনোনয়ন প্রত্যাশী শাহ্ কুতুবউদ্দিন তালুকদার রুয়েল

শাল্লার হিন্দু গ্রামে হামলার ঘটনায় ৪৯ জন কারাগারে

প্রতিনিধির নাম
  • আপডেট সময় : ০৬:১৬:৫৭ অপরাহ্ন, রবিবার, ৯ জানুয়ারী ২০২২ ১৮১ বার পড়া হয়েছে
দেশের সময়২৪ অনলাইনের সর্বশেষ নিউজ পেতে অনুসরণ করুন গুগল নিউজ (Google News) ফিডটি

ষ্টাফ রিপোর্টারঃ সুনামগঞ্জের শাল্লা উপজেলার নোয়াগাঁও গ্রামের হিন্দু সম্প্রদায়ের বাড়িঘরে হামলার ঘটনায় ৪৯ জনকে কারাগারে পাঠিয়েছেন আদালত।

রোববার ৯ জানুয়ারি সুনামগঞ্জের চিফ জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আব্দুর রহিম এই আদেশ দেন। শাল্লার নোয়াগাঁও গ্রামের ঝুমন দাশের ফেসবুক আইডি থেকে হেফাজতে ইসলামের বিতর্কিত নেতা মাওলানা মামুনুল হককে সমালোচনা করে গত বছরের ১৬ মার্চ ফেসবুকে কথিত একটি পোস্ট দেওয়া হয়।

এর প্রতিক্রিয়ায় হেফাজতের সমর্থকরা পরদিন ১৭ মার্চ হিন্দু অধ্যুষিত নোয়াগাঁও গ্রামে হামলা চালায়। এ ঘটনায় তিনটি মামলা হয়। মামলাগুলো তদন্ত করছে গোয়েন্দা পুলিশ। তিন মামলায় গ্রেফতার ও আদালতে স্বেচ্ছায় হাজির হওয়াসহ ১১৩ জন আইনের আওতায় এসেছে। হামলা, লুটপাট ও ভাঙচুরের মামলার আসামি ইউপি সদস্য শহীদুল ইসলাম স্বাধীন মিয়াসহ অধিকাংশ আসামি আদালত থেকে ইতোমধ্যে জামিন পেয়েছেন।

সম্প্রতি এই মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা এসআই মো. তোফাজ্জল হোসেন এজাহারভুক্ত আসামি ছাড়া আরও ৪৯ জনের নাম উল্লেখ করে অভিযোগপত্র দাখিল করেন। রোববার ওই আসামিরা আদালতে আত্মসমর্পণ করে জামিন আবেদন করেন। জামিন শুনানি শেষে আদালতের বিচারক চিফ জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট মো. আব্দুর রহিম ৪৯ জনকেই কারাগারে প্রেরণের আদেশ দেন।

কোর্ট ইন্সপেক্টর সাইফুল আলম জানান, ৪৯ আসামির সবাইকে আদালতের নির্দেশে জেল হাজতে প্রেরণ করা হয়েছে।

জেল হাজতে পাঠানো আসামিরা হলেন- দিরাই উপজেলার চন্দ্রপুরের আব্দুল জলিলের ছেলে আফরুজ মিয়া ও তখলিছ মিয়া, ফিরোজ আলীর ছেলে মো. আব্দুল হান্নান, ছিদ্দেক আলীর ছেলে মো. এমরান মিয়া, ইনাই আলীর ছেলে খাইরুল ইসলাম, রফিক আলীর ছেলে জয়ফুল ইসলাম, ইন্তাজ আলীর ছেলে রইস উদ্দিন, আলী হোসেনের ছেলে মহিম উদ্দিন, শহিদুল ইসলামের ছেলে জায়েদ মিয়া, মো. আব্দুর রহিম মোড়লের ছেলে মো. জালাল উদ্দিন, আব্দুল মান্নানের ছেলে আব্দুল হান্নান, ইব্রাহীমের ছেলে মো. কামরুল হাসান, হাফেজ ফখর আহমদের ছেলে মো. খালেদ আহমদ, গোলাপ মিয়ার ছেলে সুহেল রানা, নুরুল ইসলামের ছেলে জুনায়েদ, আলী আহমদের ছেলে ইয়াছিন, মুরাদ মিয়ার ছেলে ইকবাল মিয়া, মো. আব্দুল আজিজের ছেলে আশিকুর রহমান, নূর উদ্দিনের ছেলে কাইছার, মো. সিরাজ মিয়ার ছেলে মো. শফিকুল ইসলাম, আব্দুল করিম মুন্সির ছেলে মোবাশ্বির, আ. হাসিমের ছেলে নাসির উদ্দিন, আব্দুল লতিফের ছেলে মো. রুবেল মিয়া, আ. বাশিদের বাবর, নূর মিয়ার ছেলে তকদির হোসেন, মুহিবুর রহমানের ছেলে নাদিম হোসেন, আ. রহিম মোড়লের ছেলে রুকন উদ্দিন, সাদি রহমানের ছেলে নূর আলম, জিন্নাত আলীর ছেলে শাহ আলম, আব্দুল করিমের ছেলে নজরুল ইসলাম, মো. আব্দুল মোতালিবের ছেলে জিহাদ মিয়া প্রকাশ জায়েদ।

 

এ ছাড়া খোরশেদের ছেলে সুজন মিয়া, আমির হামজার ছেলে সুনা মিয়া ওরফে সুনাই, ময়না মিয়ার ছেলে ইয়াসিন মিয়া, আব্দুর রাজ্জাক মিয়ার ছেলে তোফাজ্জল, মুজিবুর রহমানের ছেলে রুবেল মিয়া, গোলাপ মিয়ার ছেলে আকসান, দেলোয়ার হোসেন, লাল মিয়ার ছেলে হাদিস, আব্দুল মালেকের ছেলে আব্দুল সালাম, আব্দুল বারিকের ছেলে সাদ্দাম, গিয়াস উদ্দিনের ছেলে নাসির, ধনপুর গ্রামের রবি হোসেনের ছেলে তোতা মিয়া, শহিদ মিয়ার ছেলে মোহন মিয়া, আব্দুর রহমানের ছেলে তোতা মিয়া, নাচনী গ্রামের নূর আলীর ছেলে মো. রুবেল আহমদ, একই গ্রামের আকিল মিয়ার ছেলে ইলিয়াস মিয়া এবং চন্ডিপুর গ্রামের আব্দুল হাসিমের ছেলে মুজিবুর রহমান।

নিউজটি শেয়ার করুন

আপনার মন্তব্য

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার ইমেইল এবং অন্যান্য তথ্য সংরক্ষন করুন

শাল্লার হিন্দু গ্রামে হামলার ঘটনায় ৪৯ জন কারাগারে

আপডেট সময় : ০৬:১৬:৫৭ অপরাহ্ন, রবিবার, ৯ জানুয়ারী ২০২২

ষ্টাফ রিপোর্টারঃ সুনামগঞ্জের শাল্লা উপজেলার নোয়াগাঁও গ্রামের হিন্দু সম্প্রদায়ের বাড়িঘরে হামলার ঘটনায় ৪৯ জনকে কারাগারে পাঠিয়েছেন আদালত।

রোববার ৯ জানুয়ারি সুনামগঞ্জের চিফ জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আব্দুর রহিম এই আদেশ দেন। শাল্লার নোয়াগাঁও গ্রামের ঝুমন দাশের ফেসবুক আইডি থেকে হেফাজতে ইসলামের বিতর্কিত নেতা মাওলানা মামুনুল হককে সমালোচনা করে গত বছরের ১৬ মার্চ ফেসবুকে কথিত একটি পোস্ট দেওয়া হয়।

এর প্রতিক্রিয়ায় হেফাজতের সমর্থকরা পরদিন ১৭ মার্চ হিন্দু অধ্যুষিত নোয়াগাঁও গ্রামে হামলা চালায়। এ ঘটনায় তিনটি মামলা হয়। মামলাগুলো তদন্ত করছে গোয়েন্দা পুলিশ। তিন মামলায় গ্রেফতার ও আদালতে স্বেচ্ছায় হাজির হওয়াসহ ১১৩ জন আইনের আওতায় এসেছে। হামলা, লুটপাট ও ভাঙচুরের মামলার আসামি ইউপি সদস্য শহীদুল ইসলাম স্বাধীন মিয়াসহ অধিকাংশ আসামি আদালত থেকে ইতোমধ্যে জামিন পেয়েছেন।

সম্প্রতি এই মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা এসআই মো. তোফাজ্জল হোসেন এজাহারভুক্ত আসামি ছাড়া আরও ৪৯ জনের নাম উল্লেখ করে অভিযোগপত্র দাখিল করেন। রোববার ওই আসামিরা আদালতে আত্মসমর্পণ করে জামিন আবেদন করেন। জামিন শুনানি শেষে আদালতের বিচারক চিফ জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট মো. আব্দুর রহিম ৪৯ জনকেই কারাগারে প্রেরণের আদেশ দেন।

কোর্ট ইন্সপেক্টর সাইফুল আলম জানান, ৪৯ আসামির সবাইকে আদালতের নির্দেশে জেল হাজতে প্রেরণ করা হয়েছে।

জেল হাজতে পাঠানো আসামিরা হলেন- দিরাই উপজেলার চন্দ্রপুরের আব্দুল জলিলের ছেলে আফরুজ মিয়া ও তখলিছ মিয়া, ফিরোজ আলীর ছেলে মো. আব্দুল হান্নান, ছিদ্দেক আলীর ছেলে মো. এমরান মিয়া, ইনাই আলীর ছেলে খাইরুল ইসলাম, রফিক আলীর ছেলে জয়ফুল ইসলাম, ইন্তাজ আলীর ছেলে রইস উদ্দিন, আলী হোসেনের ছেলে মহিম উদ্দিন, শহিদুল ইসলামের ছেলে জায়েদ মিয়া, মো. আব্দুর রহিম মোড়লের ছেলে মো. জালাল উদ্দিন, আব্দুল মান্নানের ছেলে আব্দুল হান্নান, ইব্রাহীমের ছেলে মো. কামরুল হাসান, হাফেজ ফখর আহমদের ছেলে মো. খালেদ আহমদ, গোলাপ মিয়ার ছেলে সুহেল রানা, নুরুল ইসলামের ছেলে জুনায়েদ, আলী আহমদের ছেলে ইয়াছিন, মুরাদ মিয়ার ছেলে ইকবাল মিয়া, মো. আব্দুল আজিজের ছেলে আশিকুর রহমান, নূর উদ্দিনের ছেলে কাইছার, মো. সিরাজ মিয়ার ছেলে মো. শফিকুল ইসলাম, আব্দুল করিম মুন্সির ছেলে মোবাশ্বির, আ. হাসিমের ছেলে নাসির উদ্দিন, আব্দুল লতিফের ছেলে মো. রুবেল মিয়া, আ. বাশিদের বাবর, নূর মিয়ার ছেলে তকদির হোসেন, মুহিবুর রহমানের ছেলে নাদিম হোসেন, আ. রহিম মোড়লের ছেলে রুকন উদ্দিন, সাদি রহমানের ছেলে নূর আলম, জিন্নাত আলীর ছেলে শাহ আলম, আব্দুল করিমের ছেলে নজরুল ইসলাম, মো. আব্দুল মোতালিবের ছেলে জিহাদ মিয়া প্রকাশ জায়েদ।

 

এ ছাড়া খোরশেদের ছেলে সুজন মিয়া, আমির হামজার ছেলে সুনা মিয়া ওরফে সুনাই, ময়না মিয়ার ছেলে ইয়াসিন মিয়া, আব্দুর রাজ্জাক মিয়ার ছেলে তোফাজ্জল, মুজিবুর রহমানের ছেলে রুবেল মিয়া, গোলাপ মিয়ার ছেলে আকসান, দেলোয়ার হোসেন, লাল মিয়ার ছেলে হাদিস, আব্দুল মালেকের ছেলে আব্দুল সালাম, আব্দুল বারিকের ছেলে সাদ্দাম, গিয়াস উদ্দিনের ছেলে নাসির, ধনপুর গ্রামের রবি হোসেনের ছেলে তোতা মিয়া, শহিদ মিয়ার ছেলে মোহন মিয়া, আব্দুর রহমানের ছেলে তোতা মিয়া, নাচনী গ্রামের নূর আলীর ছেলে মো. রুবেল আহমদ, একই গ্রামের আকিল মিয়ার ছেলে ইলিয়াস মিয়া এবং চন্ডিপুর গ্রামের আব্দুল হাসিমের ছেলে মুজিবুর রহমান।