সোনাতলায় পৌর নির্বাচনকে ঘিরে সঘর্ষের ঘটনায় সংবাদ সম্মেলন

- আপডেট সময় : ০১:৫৬:৫২ পূর্বাহ্ন, সোমবার, ৮ নভেম্বর ২০২১ ১৯৬ বার পড়া হয়েছে
মিনহাজুল বারী, বগুড়াঃ বগুড়া সোনাতলা পৌরসভার নির্বাচন পরবর্তী সময়ে গত ৩ নভেম্বর উপজেলা চেয়ারম্যান সহ কয়েকজন আহত হওয়ার ঘটনায় সোনাতলা ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান এ্যাসোসিয়েশনেরর পক্ষ থেকে দুপুরে উপজেলা বঙ্গবন্ধু মিলেনিয়াম হল রুমে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে
এ্যাসোসিয়েশন সভাপতি ও সোনাতলা সদর ইউনিয়নের চেয়ারম্যান মাহবুবুর আলম বুলু সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্যে বলেন, গত ২রা নভেম্বর সোনাতলা পৌরসভা নির্বাচনে আওয়ামীলীগের বিদ্রোহী প্রার্থী জাহাঙ্গীর আলম নান্নু জয় লাভ করেন।
বিজয় লাভ করার পরপরই আওয়ামীলীগের কর্মীদের উপর ক্ষিপ্ত হয়ে অকথ্য ভাষায় গালি গালাজ করতে থাকে। সেই সাথে বিজয়ী প্রার্থী ও তার সমর্থকগন `আওয়ামীলীগের নেতা কর্মী যেখানে পাওয়া যাবে সেখানেই খুন ও জখম করার ‘ হুমকি দিতে থাকে। এছাড়াও স্থানীয় বেশ কয়েকটি সংখ্যালঘু হিন্দু সম্প্রদায়ের বাড়ি ঘরে ইট পাটকেল নিক্ষেপ করে বলে জানায় তিনি।
তিনি আরও বলেন, নির্বাচন পরবর্তী ৩রা নভেম্বর বেলা ১২টায় বিজয়ী মেয়র জাহাঙ্গীর আলম নান্নু এবং বর্তমান উপজেলা আওয়ামীলীগের সভাপতি ও উপজেলা চেয়ারম্যান এ্যাড. মিনহাদুজ্জামান লীটনের সাথে কথা কাটাকাটির একপর্যায়ে সংঘর্ষ বাঁধে। এতে উপজেলা চেয়ারম্যান এ্যাড. মিনহাদুজ্জামান লীটন সহ দলীয় কর্মী মামুনুর রশীদ সোহেল, নাহিদ হাসান জিতু ও উৎপল কর্মকার আহত হন। যারা বর্তমানে বগুড়া (শজিমেক) হাসপাতালে চিকিৎসাধীন আছে।
তিনি সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে বলেন, উপজেলার মাইক্রোস্ট্যান্ডস্থ সংখ্যালঘু হিন্দু সম্প্রদায়ের নিরাপত্তা বিধানের জন্য ও এলাকার শান্তি স্থাপনের উদ্দেশ্য উপজেলা চেয়ারম্যান ও উপজেলা আওয়ামীলীগের সভাপতি এ্যাড. মিনহাদুজ্জামান লীটন স্থানীয় জনগনকে অভয় দিতে গেলে, নব নির্বাচিত মেয়র ও তার ভাই বগুড়া জেলা প্রজন্ম দলের আহব্বায়ক আব্দুল আজিজ হিরা ও রেজাউল করিম মানিক তাদের সন্ত্রাসী বাহিনী দেশীয় অস্ত্র, চা-পাতি, রাম দা, চাকু, লোহার রড, লাঠি ও দেশীয় পিস্তল নিয়ে এ্যাড. মিনহাদুজ্জামান লীটন ও তার সাথে দলীয় কর্মীদের ঘিরে ফেলে এবং হত্যার উদ্দেশ্য নিয়ে তাদের উপর হামলা চালায়।
একজন জনপ্রতিনিধি হয়ে এমন জঘন্য সন্ত্রাসী কর্মকান্ডের জন্য সোনাতলা ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান এ্যাসোসিয়েশনে পক্ষ থেকে নিন্দা জ্ঞাপন করেন। সেই সাথে অপরাধীদের দ্রুত গ্রেফতারের দাবী জানান।
এসময় উপস্থিত ছিলেন, উপজেলা আওয়ামীলীগের সাধারন সম্পাদক অধ্যক্ষ আব্দুল মালেক, এ্যাসোসিয়েশনের সাধারন সম্পাদক ও মধুপুর ইউপি চেয়ারম্যান অসিম কুমার জৈন নতুন, পাকুল্লা ইউপি চেয়ারম্যান জুলফিকার রহমান শান্ত, তেকারী চুকাইনগর ইউপি চেয়ারম্যান ছামসুল হক মন্ডল, জোড়গাছা ইউপি চেয়ারম্যান রুস্তম আলী মন্ডল, দিগদাইড় ইউপি চেয়ারম্যান আলী তৈয়ব শামিম, বালুয়া ইউপি চেয়ারম্যান প্রভাষক রুহুল আমিন প্রমূখ।