উন্নয়নের ধাঁরা চলমান রাখতে আওয়ামী লীগের মনোনয়ন চায় আবুল কালাম আজাদ

- আপডেট সময় : ১২:৫১:১১ পূর্বাহ্ন, রবিবার, ২৮ নভেম্বর ২০২১ ২০০ বার পড়া হয়েছে
স্টাফ রিপোর্টারঃ কুমিল্লার চান্দিনা উপজেলায় সম্ভাব্য ইউপি চেয়ারম্যান পদপ্রার্থীরা দলীয় মনোনয়ন পাওয়ার আশায় দলের নেতাদের দৃষ্টি আকর্ষণ করতে নানা রকম সামাজিক কাজে অংশ নিচ্ছেন।
এদিকে বুধবার ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনের পঞ্চম ধাপের তফসিল ঘোষণা করেছে নির্বাচন কমিশন। ঘোষিত তফসিল অনুযায়ী, আগামী ৫ জানুয়ারি বুধবার দেশের ৭০৭টি ইউপিতে নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে। এই তালিকায় চান্দিনার উপজেলার নাম ঘোষণা হওয়ায় প্রার্থী ও ভোটারদের মাঝে দেখা দিচ্ছে উচ্চাসের নতুন জোয়ার।
জোয়াগ ইউনিয়ন থেকে আওয়ামী লীগের মনোনয়ন চায় অনেকেই। এর মধ্যে নম্রতা, ভদ্রতা, রাজনৈতিক দূরদর্শিতায় এগিয়ে রয়েছেন আবুল কালাম আজাদ। তিনি ১৩ জোয়াগ ইউনিয়নের কৈলান গ্রামের এক সম্ভ্রান্ত মুসলিম পরিবারে জন্ম গ্রহণ করেন। তিনি মৃত আবদুল হামিদ মিয়া ও মৃত বদরের নেছার ছেলে। বিবাহিত জীবনে তিনি এক ছেলে ও এক মেয়ের জনক।
১৩ নং জোয়াগ ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সভাপতি। ১৯৭৪ সাল থেকে (২০২১ অধ্যবদি) এখন পর্যন্ত তিনি এ দায়িত্বে সফল ভাবেই পালন করে আসছেন। দীর্ঘ চার যুগেরও বেশি সময় ধরে তার হাত দিয়েই জোয়াগ ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের রাজনৈতিক কার্যক্রম শান্তিপূর্ণ এবং সফলতার সাথে পরিচালিত হয়ে আসছে।
তার মেধা, শ্রম, আন্তরিকতা ও নিষ্ঠায় সাবেক ডেপুটি স্পিকার, চান্দিনা উপজেলা আওয়ামী লীগের সাবেক সভাপতি ও চারবারের নির্বাচিত এমপি মরহিম অধ্যাপক আলী আশ্রাফ এর ভরসার স্থল হয়ে উঠতে পেরেছিলেন। এছাড়াও রাজনৈতিক জীবনে তিনি চান্দিনা উপজেলা আওয়ামিলীগের (১৯৭৩ আশরাফ ও ওয়াদুদ কমিটি) সাবেক ত্রাণ ও দূর্যোগ বিষয়ক সম্পাদক ছিলেন। তিনি কুমিল্লা ভিক্টোরিয়া সরকারি কলেজ ছাত্রলীগের (১৯৬৮,ওমর ফারুক- শাহালম কমিটি) সাবেক সদস্য ছিলেন।
তার একমাত্র ভগ্নিপতি শহীদ মমতাজ উদ্দিন আহাম্মেদ ১৯৭১ সালে পাক হানাদার বাহিনী ও রাজাকার কর্তৃক নিহত হন। যার বাবা মৃত অছিমদ্দিন আহাম্মেদ ছিলেন অবিভক্ত ভারতবর্ষের দুইবারের নির্বাচিত এমএলএ। তার ভাগিনা নাসির উদ্দিন লিংকন বর্তমানে বরুড়া উপজেলা আওয়ামিলীগের সাধারণ সম্পাদক। দীর্ঘ ৪৭ বছর জোয়াগ ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের নেতৃত্ব দেয়ার পাশাপাশি সাধারণ মানুষের সুখে দুখে পাশে দাড়িয়েছেন।
এখনও আওয়ামী লীগের রাজনীতিতে সম্পৃক্ত আছেন। তিনি এলাকার বিভিন্ন সামাজিক কার্যক্রমের সাথে জড়িত থেকে সকলের মনে জায়গা করে নিয়েছেন। সুদীর্ঘ সময় ধরে কৈলাইন তুলপাই উচ্চ বিদ্যালয়ের সভাপতি, পূর্ব কৈলাইন সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সভাপতি, পশ্চিম কৈলাইন সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সভাপতির দায়িত্ব পালন করেন। এছাড়া কৈলাইন বড় জামে মসজিদের সভাপতির দায়িত্ব পালন করেন।
এছাড়াও তিনি বহু শিক্ষা প্রতিষ্ঠান ও ধর্মীয় প্রতিষ্ঠান প্রতিষ্ঠায় অগ্রণী ভূমিকা রেখেছেন। আবুল কালাম আজাদ বলেন, ‘মাদক, দুর্নীতি ও সন্ত্রাসমুক্ত সমাজ গঠন করাই আমার লক্ষ্য। রাজনীতি আমার নেশা, পেশা নয়। পারিবারিক সম্পত্তি বিক্রি করে আমি সবসময় মানুষের পাশে থেকেছি। যতদিন বেঁচে থাকবো এভাবেই সমাজের মানুষের সুখে দুঃখে পাশে থাকতে চাই। আমি সবসময় মানুষের জন্য কাজ করতে চাই, মানুষের ভালবাসা অর্জন করতে চাই।
দলীয় মনোনয়ন পেলে আসন্ন ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনে অংশগ্রহণ করতে চাই। আমি জোয়াগ ইউনিয়নের চেয়ারম্যান নির্বাচিত হলে এই ইউনিয়নকে আরো এগিয়ে নিয়ে যেতে সক্ষম হবো। জোয়াগ ইউনিয়নকে একটি উন্নয়নের রোল মডেল হিসেবে রুপান্তরিত করবো। তিনি বলেন, মানুষ দল ও মার্কার পাশাপাশি ভালো প্রার্থীও দেখবেন।
ভালো, ভদ্র, সভ্য ও ন্যায়পরায়ণ একজনকেই চেয়ারম্যান হিসেবে বেছে নেবেন ভোটাররা। আর আমি মনে করি এর সব কটি উদাহরণই আমার মধ্যে রয়েছে। তিনি বলেন এলাকায় জনপ্রিয়তা যাচাই করে দলীয়ভাবে সিদ্ধান্ত নিয়ে প্রার্থী হিসেবে আমাকে মনোনয়ন দেয়ার দাবী করছি।