টিভির পর্দায় দেখা যাবে নাটক “ভালবাসার শেষ পরিনতি”

- আপডেট সময় : ০১:০২:৪২ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ১ ফেব্রুয়ারী ২০২২ ১৪৮ বার পড়া হয়েছে
বিনোদন ডেস্কঃ শাফিন আহম্মেদের পরিচালনায় “ভালবাসার শেষ পরিনত” নাটকটির শুটিং ইতিমধ্যে শেষ হয়েছে। সাভারের আকরাইনে রোমান্টিক ও বিনোদন মূলক এই নাটকটির দৃশ্য ধারন করা হয়েছে। নাটকটি দর্শকমহলে সাড়া ফেলবে বলে আশাবাদ ব্যক্ত করেন নাটকটির পরিচালক।
এই নাটকে কেন্দ্রীয় চরিত্রে অভিনয় করেছেন হিরন সোহেল, আয়শা নাফিজা, শফিক খান দিলু, সাহেলা আক্তার, তমাল মাহাবুব, মশিউর রহমান মশি এবং বিজয় রায়।
এছাড়া অনন্য চরিত্রে অভিনয় শিল্পীরা হলেন লিপা রানি, ইভা মনি, মৌ, জাকির খান, বিল্লাল ও মোস্তফাসহ আরো অনেকে। এটির চিত্রগ্রহণে ছিলেন আসাদুজ্জামান আসাদ।
নাটকটির কাহিনি সংক্ষেপঃ
মহল্লার উচ্চ পরিবারের একমাত্র মেয়ে, বাবা মায়ের পছন্দের ছেলের সাথে বিয়ে হতে যাচ্ছে।
মেয়েটি অন্য একজন ছেলেকে ভালবাসে। ভালবাসার মানুষের সাথে যোগাযোগ করে। বিয়ের আসর থেকে পালিয়ে যায়। তার একটু পরে সারা বাড়ি হৈচৈ পরে যায়। মেয়ে পালিয়েছে, বর পক্ষ মেয়ের বাবাসহ সবাইকে অপমান করে চলে যায়।
আনন্দময় বিয়ে বাড়িতে যেন নিমিষেই শোকের ছায়া পরে গেল। বাবা মামা দুই ভাইসহ মেয়েটিকে খোঁজাখুজি শুরু করে কোথাও পাওয়া গেল না।
মেয়েটি তার ভালবাসার মানুষকে ফোন করে জেনে নিলো কালো একটা বাইক নিয়ে সে আসছে। কথা শেষ না হতেই হেলমেট পরা কালো একটা বাইকে মেয়েটির সামনে আসতেই তাড়াহুড়ো করে বাইকে উঠে চলে যেতে বলে। কিছু দূর গিয়ে বাইক থামিয়ে ছেলেটি হেলমেট খুলে কথা বলতেই মেয়েটি বুঝতে পারে যার জন্য বাড়ি থেকে পালিয়ে এসেছে সে এই ছেলে না। মেয়েটি কান্নায় ভেংগে পরলো। বাইকওয়ালা মেয়েটিকে বুঝিয়ে তার ভালবাসার মানুষকে ফোন দিতে বললো।
মেয়েটি তাই করলো। তবে তার ফোন বন্ধ ছিলো। বারবার চেস্টা করেও ফোনে পাওয়া গেলনা। একা একটা মেয়ে কোথায় যাবে, কি করবে, বুঝে উঠতে পাচ্ছিলো না। যেনো মাথায় আকাশ ভেংগে পরলো। বাইকওয়ালাকে অনুরোধ করলো তার সাথে থাকার জন্য। ছেলেটি না থাকার জন্য বিভিন্ন অযুহাত দেখাতে শুরু করলো। মেয়েটি জানালো তার ভালবাসার মানুষ এলেই সকল সমস্যা সমাধান করে দিবে। বাইকওয়ালা মেয়েটাকে নিয়ে সারাদিন অপেক্ষা করতে করতে সন্ধ্যা ঘনিয়ে এলো।
হঠাৎ ভালবাসার মানুষের ফোনে রিং ঢুকলো কথা হলো, মেয়েটির চোখে মুখে কালো মেঘের ছায়ায় ঢেকে গেল, চোখ বেয়ে অশ্রু ঝড়তে লাগলো, কারণ তার ভালবাসার মানুষ তাকে জানিয়ে দিয়েছে, তাকে সে বিয়ে করতে পারবে না, কারণ জানতে চাইলে বিভিন্ন বাহানা দেখিয়ে ফোন কেটে সুইজ বন্ধ করে রেখে দেয়। বাইকওয়ালা ছেলেটি পাশে দাড়িয়ে সব কথা শুনতে পায়। মেয়েটি সিধান্ত নিলো আত্মহত্যা করবে।
বাইকওয়ালা ছেলেটি বাঁধা দিলো এবং বুঝালো আপনি আত্মহত্যা করে মারা গেলেন। আমি সেই মারা যাওয়া মানুষটাকে যদি বিয়ে করি আপনার কোন আপত্তি আছে কি। মেয়েটি সারা দিন তার সাথে থেকে অনেক সুন্দর ভাল মনের পরিচয় পেয়েছে। সব কিছু ভুলে গিয়ে বাইকওয়ালার হাত ধরে নতুন জীবন শুরু করতে সিদ্ধান্ত নিলো এভাবেই গল্প সামনের দিকে অগ্রসর হতে থাকে।
এবিষয়ে পরিচালক বলেন, শেষ পরিনতি নাটকে হাঁসি আর কান্না রোমান্টিকতা সব কিছুই এই নাটকের মধ্যে রয়েছে। কাহিনীর সাথে বাস্তবতার অনেকটাই মিল রয়েছে। বর্তমান সময়ে এই রকম ঘটনা অহরহ ঘটে থাকে। একজন মেয়ে তার মা-বাবা ও ভাই বোন সব কিছু ছেড়ে তার ভালবাসার মানুষের কথায় বিয়ের আসর থেকে পালিয়ে এসে যদি সেই প্রিয় মানুষকে না পেয়। তাহলে তার শেষ পরিনতি কি হয় সেই দিকটা এই নাটকে বুঝানোর চেস্টা করেছি। আশা করছি নাটকটি সবার ভাল লাগবে