‘অমিত হাসান’ অনেক অবৈধ কাজ করেছেন: জায়েদ খান

- আপডেট সময় : ০৮:০৯:৪০ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ২৮ সেপ্টেম্বর ২০২১ ১৮৫ বার পড়া হয়েছে
বিনোদন ডেস্কঃ সম্প্রতি গণমাধ্যমকে দেওয়া সাক্ষাৎ’কারে জায়েদ খানকে চ্যালেঞ্জ ছুড়ে দিয়েছেন চিত্র’নায়ক অমিত হাসান। তিনি সে সময় বলে’ছিলেন, ১৮৪ সদস্যই কি মাছ বিক্রি করেন? সেলুনে চাকরি করেন? চিত্র’নায়িকা ইরিন জামান, শিমু ইসলাম কি মাছ বিক্রি করেন? সদস্য’পদ দেওয়ার ক্ষেত্রে কোনো অন্যায় হয়নি। প্রশ্নই আসে না।
আমি কী অন্যায় করেছি, বলতে হবে। আমি ওপেন চ্যালেঞ্জ ছুড়’লাম। ঢালা’ওভাবে মন্তব্য করা তো ঠিক নয়। অমিত হাসানের এমন চ্যালেঞ্জের পরি’প্রেক্ষিতে সোমবার রাতে মুখ খুলেছেন চিত্রনায়ক ও শিল্পী সমিতির সাধারণ সম্পাদক জায়েদ খান।
জায়েদ খানের দাবি, ‘মূল সদস্যপদ থেকে বাদ পড়া শিল্পীদের বেশি টাকার বিনিময়ে সদস্য’পদ দিয়েছেন সাবেক সাধারণ সম্পাদক অমিত হাসান।’ তিনি বলেন, ‘অমিত হাসান অনেক সিনি’য়র একজন শিল্পী।
অনেক ভালো এক’জন অভিনেতা। কিন্তু চল’চ্চিত্র শিল্পী সমিতির সাধারণ সম্পাদক হিসেবে অনেক অন্যায় করে গেছেন। ৮৪ জন শিল্পীকে তিনি সদস্য করে গেছেন। তার কমিটির লোকেরাই এই কমি’টিতে আছেন। তারা জানে ৩০ থেকে ৩৫ জন শিল্পীকে তারা মিটিংয়ে পাস করেছিলেন। বাকি’গুলো পাস করেনি।’
জায়েদ খানের কথায়, ‘অমিত হাসান ভাই আমাকে চ্যালেঞ্জ করে’ছেন, আমিও তাকে চ্যালেঞ্জ করলাম। আমাদের গঠনতন্ত্রে আছে, পাঁচ’টি ছবিতে অবিতর্কিত কেন্দ্রীয় চরিত্রে অভিনয় করতে হবে। এর’পর তাকে তিনি শিল্পী করতে হবে। কিন্তু কাউকে না বলে আপনি তাদের শিল্পী বানি’য়েছেন। এর মধ্যে শিল্পী খন্দ’কার নামে একজন আছে, তার ছবি রিলিজ হয়নি।
অধরা খান আছেন, সেই সময় তার সিনেমা রিলি’জ হয়নি। আমি কমি’টিতে আসার পর তার ৩টি ছবি রিলিজ হয়েছে। সাজিদ খান প্রিন্স নামে একজন আছেন তাকেও তিনি সমিতির সদস্য বানি’য়েছেন। আরও কয়েকজন আছে যাদের নাম এখন মনে পড়ছে না। তিনি যা করেছেন, তা অবৈধ। কারণ, তিনি (অমিত হাসান) সাধারণ সভা করে এসব কিছু’ই পাস করাননি। আপনারা যাই করেন, সেটা যদি সাধারণ সভা করে পাস না করান, সেটা কিন্তু অবৈধ। সেই কাজ’টাই কিন্তু তিনি করেছেন।
জায়েদ খান বলেন, ‘এতদিন পর তিনি (অমিত হাসান) স্ট্যা’টাস দিলেন, ১৮৪ জন শিল্পীর জন্য তার মন কাঁদে। আসলে এই সংখ্যাটাই তো ভুল। আসলে ১৮৪ জন নন। আর কাউকে কিন্তু বাদ দেওয়া হয়নি। সহ’যোগী শিল্পী করা হয়েছে।’
অমিত হাসা’নের উদ্দেশে জায়েদ খান বলেন, ‘শেষ সময়ে আপনি তো আরও বেশি অন্যায় করে গেছেন। আমাকে হিসাবও দিয়ে’ছেন দেড়-দুই মাস পরে। কিন্তু নিয়ম হলো এক সপ্তাহের মধ্যে। তার থেকে বড় কথা হলো এসব শিল্পীকে আপনি কোনো আইনে পূর্ণ ভোটার করলেন সেটা আমার জানা নেই।