সাবেক স্ত্রীসহ দুজনকে হত্যার পর আত্মহত্যা করেন শাহজালাল

- আপডেট সময় : ১২:৫৮:১৪ অপরাহ্ন, রবিবার, ৩১ অক্টোবর ২০২১ ২৩১ বার পড়া হয়েছে
ডেস্ক রিপোর্টঃ টাঙ্গাইলের ঘাটাইলের দিগর ইউনিয়নের কাশতলা গ্রামে সাবেক স্ত্রী ও তার শাশুড়িকে হত্যার পর নিজেই আত্ম’হত্যার পথ বেঁচে নেন শাহজালাল। টাঙ্গাইলের পুলিশ সুপার (এসপি) সরকার মোহাম্মদ কায়’ছার এ তথ্য জানান।
টাঙ্গাইলের ঘাটাইলে শনিবার (৩০ অক্টোবর) সকাল ৮টার দিকে প্রবাসী জয়েন উদ্দী’নের বাড়ি থেকে তালাবন্ধ অবস্থায় তিনজনের মরদেহ উদ্ধার করা হয়। এসময় গুরুতর আহত অবস্থায় তিন বছরের এক শিশুকে উদ্ধার করে হাস’পাতালে প্রেরণ করা হয়েছে।
নিহতরা হলেন, ওই গ্রামের সৌদি প্রবাসী জয়’নুদ্দিনের স্ত্রী সুমি আক্তার (২৫), জয়নুদ্দিনের মা জমেলা বেগম (৫৫) এবং শাহ’জালাল ইসলাম সোহাগ (৩০)। শাহ’জালাল কালিহাতী উপজেলার সাতুটিয়া পূর্বপাড়া এলাকার সোহরাব আলীর ছেলে। এ ঘটনায় গুরুতর আহত জয়’নুদ্দিনের ছেলে শাফি (৩) হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছেন।
এদিকে, ওই বাড়ির একটি দেয়ালে রক্ত দিয়ে এই হত্যা’কাণ্ডের কারণ লিখে গেছেন ঘাতক। দুটি লাশের পাশেই পড়েছিল শাহ’জালালের নিথর দেহ। ট্রিপল মার্ডারের বিষয়টি নিয়ে বেশ চাঞ্চল্যের সৃষ্টি হয়।
দিন শেষে পুলিশ এ হত্যা’কাণ্ডের রহস্য উন্মোচন করতে সক্ষম হন। টাঙ্গাইলের পুলিশ সুপার সরকার মোহাম্মদ কায়ছার বলেন, ‘ট্রিপল মার্ডারের ঘটনায় আমরা রহস্য উদঘাটন করতে সক্ষম হয়েছি। সাবেক স্ত্রী সুমি আক্তার ও সুমির বর্তমান শাশুড়ি জমেলা বেগমকে হত্যার পর শাহজালাল নিজেই আত্ম’হত্যা করেছেন।’
তিনি আরও বলেন, ‘বিবাহবহির্ভূত সম্পর্কের জের ধরে সুমি ও শাহ’জালাল পালিয়ে গিয়ে বিয়ে করেন। প্রায় পাঁচ মাস তারা ঘর সংসার করেন। এরপর সুমির বাবা জিন্নাত আলী তাদের দাওয়াত দিয়ে ডেকে এনে সুমিকে বাড়িতে রেখে দেন। ওই সময় সুমি অন্তঃসত্ত্বা ছিলেন।
পরে তার গর্ভে থাকা সন্তান নষ্ট করার শর্তে সুমির আগের স্বামী জয়’নুদ্দিন বিদেশ থেকে দেশে ফিরে সুমিকে আবার তার কাছে ফেরত নেন। এর কিছুদিন পর জয়নুদ্দিন আবার বিদেশে চলে যান। সন্তান নষ্ট করায় সুমির সাবেক স্বামী শাহ’জালাল ক্ষিপ্ত হয়ে ওঠেন।’
পুলিশ সুপার বলেন, ‘সুমির স্বামী জয়’নুদ্দিন বাড়িতে না থাকায় মাঝে মধ্যেই শাহ’জালাল সুমির শ্বশুর বাড়িতে আসতেন। ঘরের বারান্দার লোহার গ্রিলের চাবিও ছিল শাহ’জালালের কাছে। পরে গতরাতে শাহজালাল সুমির ঘরে প্রবেশ করে।
এক’পর্যায়ে ছুরি দিয়ে তার সাবেক স্ত্রী সুমি ও সুমির শাশুড়ি’কে হত্যা করেন। এ সময় সুমির শিশু সন্তানকেও হত্যার চেষ্টা করেন তিনি। এরপর শাহজালাল নিজেই আত্ম’হত্যা করেন। বিভিন্ন আলামত ঘেটে আমরা বিষয়’টির রহস্য উৎঘাটন করতে পেরেছি। তারপরও ঘটনাটির তদন্ত অব্যাহত রয়েছে।’