তৃতীয় স্ত্রী’কে সঙ্গে নিয়ে চতুর্থ স্ত্রী’কে হত্যা, দ্বিতীয় স্ত্রী’র ‘আশ্রয়’ থেকে গ্রেপ্তার!

- আপডেট সময় : ১২:৩৮:২০ অপরাহ্ন, বুধবার, ১০ নভেম্বর ২০২১ ১৮৫ বার পড়া হয়েছে
চট্টগ্রাম নগরের হালি’শহরে চতুর্থ স্ত্রীর সঙ্গে থাকতেন সোহাইল আহমেদ। চতুর্থ স্ত্রীর সঙ্গে কথা কাটা’কাটির একপর্যায়ে তৃতীয় স্ত্রীর সহায়তায় তাকে হত্যা করে। এরপর আশ্রয় নেয় দ্বিতীয় স্ত্রীর বাড়িতে।
প্রথম আলোর এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, অভিযুক্ত ব্যক্তির নাম সোহাইল আহমেদ। পেশায় পোশাক’শ্রমিক সোহাইলের চতুর্থ স্ত্রীর নাম লাকী আক্তার।
সোমবার (৮ নভেম্বর) অভিযুক্ত সোহাইলকে বাগেরহাটে দ্বিতীয় স্ত্রীর আশ্রয় থেকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ। একইদিন নাহিদা আক্তার নামে সোহাইলের আরেক স্ত্রীকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ।
জানা গেছে, গতবছর ২১ জুলাই চট্টগ্রাম নগরের হালি’শহর রহমানবাগ আবাসিক এলাকার একটি বাসা থেকে এক নারীর মরদেহ উদ্ধার করে পুলিশ। এ ঘটনায় পুলিশ বাদী হয়ে হত্যা মামলা করে।
সোমবার সোহাইল’কে গ্রেপ্তারের পর বেরিয়ে আসে দেড় বছর আগে ওই নারী হত্যা রহস্য।
চট্টগ্রাম পুলিশের উপ-কমিশনার (পশ্চিম) আবদুল ওয়ারিশ জানান, প্রথম স্ত্রীর সঙ্গে ছাড়া’ছাড়ি হয়ে গেছিল সোহাইলের। এরপর একেএকে আরও তিনটি বিয়ে করে সে। দ্বিতীয় স্ত্রী বাগেরহাটে ও তৃতীয় স্ত্রী নাহিদা আক্তার নগরে’র পতেঙ্গায় থাকত।
অন্য’দিকে, চতুর্থ স্ত্রী লাকী আক্তারকে নিয়ে হালিশহরে ভাড়া বাসায় থাকতেন সোহাইল। সোহাইল, লাকী ও নাহিদা তিনজনই নগরের একটি পোশাক কারখানায় কাজ করত। ২০১৬ সালে নাহিদা’কে বিয়ে করেন সোহাইল। গত বছরের শুরুতে বিয়ে করেন লাকীকে।
হালিশহর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোস্তাফিজুর রহমান জানান, গ্রেপ্তার আসামি’রা স্বীকার করেছেন লাকীর সঙ্গে সোহাইলের কথা-কাটাকাটি হয়। একপর্যায়ে লাকী’কে মারধর করেন সোহাইল।
এতে অজ্ঞান হয়ে পড়েন তিনি। পরে গলায় ওড়না ও কাপড় পেঁচিয়ে হত্যা করা হয় লাকী’কে। বিছানার চাদর মুড়িয়ে লাকীর লাশ বাসার রান্না’ঘরে রেখে পালিয়ে যান সোহাইল ও তার তৃতীয় স্ত্রী।
মোস্তা’ফিজুর রহমান আরও জানান, বাসা ভাড়া নেওয়ার সময় ভুয়া জাতীয় পরিচয়পত্র দেন। হত্যার পর নারায়ণগঞ্জ, সাভার, গাজীপুর, এরপর বাগের’হাটে বিভিন্ন এলাকায় পালিয়ে থাকছিল সোহাইল।
পুলিশ সোহাইলের ছবি সংগ্রহ করে বাসাটির তত্ত্বা’বধায়ক নুর নবীকে দেখালে তিনি রেজাউল করিম পরিচয় দিয়ে বাসা ভাড়া নেওয়া ব্যক্তিকে সোহাইল বলে চিহ্নিত করেন।
গ্রেপ্তারের আগ পর্যন্ত পাঁচটি সিম পরিবর্তন করেন তিনি। প্রথম ব্যবহৃত মোবা’ইল নম্বরের সূত্র ধরে তাকে শনাক্ত করা হয়।