সংলাপে ফল দেখছেন না সুজন সম্পাদক, ইভিএম নিয়ে ইসির ‘কাজে’ সন্দেহ

- আপডেট সময় : ০৫:৪২:৩২ অপরাহ্ন, সোমবার, ১ অগাস্ট ২০২২ ১৮৯ বার পড়া হয়েছে
নিউজ ডেস্কঃ ‘দ্বাদশ সংসদ নির্বাচন সবার কাছে গ্রহণযোগ্য, সুষ্ঠু, অংশগ্রহণমূলক এবং সহিংসতামুক্ত করার লক্ষ্যে রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে পরামর্শ করতে সংলাপ আয়োজন করে নির্বাচন কমিশন (ইসি)।’
‘নিবন্ধিত সব রাজনৈতিক দলকে আমন্ত্রণ জানানো হলেও বিএনপিসহ ৯টি দল অংশ নেয়নি সংলাপে। অংশ নেওয়া ২৮টি দল ৩০০ এর বেশি প্রস্তাব দিয়েছেন সুষ্ঠু নির্বাচনের লক্ষ্যে।’
‘তবে সুশাসনের জন্য নাগরিক (সুজন) সম্পাদক ড. বদিউল আলম মজুমদার মনে করেন এই সংলাপ পুরোপুরি অর্থহীন। এর কোনো ফলাফল নেই।’
‘সুজন সম্পাদক ঢাকা মেইলকে বলেন, ‘এগুলো হলো একটা অর্থহীন আনুষ্ঠানিকতা। এর কোনো রকম ফলাফল নেই। এগুলো (সংলাপ) অহেতুক সময় নষ্ট করা।’
‘দ্বাদশ সংসদ নির্বাচনকে সামনে রেখে নিবন্ধিত রাজনৈতিক দলের সঙ্গে নির্বাচন কমিশনের অনুষ্ঠিত সংলাপের বিষয় নিয়ে জানতে চাইলে সাবেক এই নির্বাচন কমিশনার এমন মন্তব্য করেন।’
‘১৭ জুলাই থেকে শুরু হওয়া ইসির সংলাপে নিবন্ধিত ৩৯ রাজনৈতিক দলের মধ্যে ২৮টি অংশ নিয়েছে। বিএনপিসহ ৯টি দল অংশ নেয়নি। আর দুটি দল নতুন করে সময় চেয়েছে।’
‘এই দুটি দলের সঙ্গে পরে সংলাপে বসবে ইসি। যদিও তাদের সময় দেওয়া হবে কিনা সে ব্যাপারে এখনও সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়নি। আওয়ামী লীগের সঙ্গে সংলাপের মধ্য দিয়ে রোববার (৩১ জুলাই) শেষ হয়েছে ইসির এই কর্মযজ্ঞ।’
‘বদিউল আলম মজুমদার মনে করেন— নির্বাচনে ইভিএম ব্যবহার করতে ইসি উঠেপড়ে লেগেছে।’
‘বদিউল আলম মজুমদার বলেন, আমার কাছে বোধগম্য নয়, নির্বাচন কমিশন কেন ইভিএম ব্যবহারের জন্য উঠেপড়ে লেগেছে।’
‘এটা হলো সবচেয়ে নিকৃষ্ট যন্ত্র। অধ্যাপক ড. জামিলুর রেজা চৌধুরী এটা কেনার ব্যাপারে যে সুপারিশপত্র ছিল সেটায় স্বাক্ষর করেননি। শুধু তাই নয়, পদে পদে এর ত্রুটি ধরা যায়। এতে কোনো বিশ্বাসযোগ্যতা নেই। নির্বাচন কমিশন এটা নিয়ে কেন উঠেপড়ে লেগেছে এটাই সন্দেহের উদ্রেক করে।’
‘নির্বাচনকালীন সরকার নিয়ে সুজন সম্পাদক বলেন, আমাদের এখানে দলীয় সরকারের অধীনে কখনও সুষ্ঠু নির্বাচন হয়নি। ভবিষ্যতেও হবে না।’
‘এই অবস্থায় করণীয় কী- এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, নির্বাচন কমিশনের দায়িত্ব হলো নির্বাচন করা। নির্বাচন মানে বিকল্প লোক বের করে আনা। বিকল্প লোক যদি না থাকে তাহলে তো নির্বাচন হবে না।’
‘নির্বাচন কমিশনকে এই দায়িত্ব পালনের জন্য নিয়োগ দেওয়া হয়েছে। তাদের দায়িত্ব সুষ্ঠু, নিরপেক্ষ ও গ্রহণযোগ্য নির্বাচন করা। যেখানে বিকল্প প্রার্থী থাকবে না সেটা কোনো নির্বাচনই না।’
‘আপনার যদি কোনো প্রতিদ্বন্দ্বী না থাকে বা নামকাওয়াস্তে প্রতিদ্বন্দ্বী থাকে তাহলে সেটা কোনো নির্বাচন নয়।’