ঢাকা ১০:৫০ পূর্বাহ্ন, রবিবার, ১০ ডিসেম্বর ২০২৩, ২৬ অগ্রহায়ণ ১৪৩০ বঙ্গাব্দ
সর্বশেষ ::
যুক্তরাজ্যে বাংলাদেশের হাইকমিশনার সাইদা মুনা তাসনিম আইএমও এর প্রথম ভাইস প্রেসিডেন্ট নির্বাচিত খানবাহাদুর আহ্ছানউল্লা’র আদর্শ বাস্তবায়ন তরুনদের উদ্বুদ্ধ করতে হবে নড়াইল-১আসনে আবারো আ’লীগের মনোনয়ন পেলেন বিএম কবিরুল হক মুক্তি খানবাহাদুর আহ্ছানউল্লা ছিলেন বহুমাত্রিকগুনের অধিকারী : অধ্যাপক ড. এম শমসের আলী ফের নৌকার টিকিট পেলেন রাজী মোহাম্মদ ফখরুল পি‌রোজপু‌রে ফেজবু‌কে স্টাটার্স দি‌য়ে অনার্স পড়ুয়া ছা‌ত্রের আত্মহত্যা যেভাবে জানা যাবে এইচএসসির ফল > How to know HSC result নেত্রকোণা -২ আসনে আওয়ামী লীগের মনোনয়ন প্রত্যাশী ওমর ফারুক জনপ্রিয়তার শীর্ষে চাটখিলে যুবলীগের ৫১ তম প্রতিষ্ঠা বার্ষিকী পালিত দিনব্যাপী গণসংযোগ করলেন নৌকার মনোনয়ন প্রত্যাশী শাহ্ কুতুবউদ্দিন তালুকদার রুয়েল

প্রথম দেখায় আইরিশদের বিপক্ষে বাংলাদেশের বড় জয়

স্পোর্টস ডেস্ক
  • আপডেট সময় : ০৪:২৭:৫১ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ৭ এপ্রিল ২০২৩ ১০৪ বার পড়া হয়েছে

প্রথম দেখায় আইরিশদের বিপক্ষে বাংলাদেশের বড় জয়

দেশের সময়২৪ অনলাইনের সর্বশেষ নিউজ পেতে অনুসরণ করুন গুগল নিউজ (Google News) ফিডটি

আয়ারল্যান্ডের সঙ্গে এই টেস্ট খেলার আগে মোট ১১টি দলের বিপক্ষে টেস্ট খেলেছে বাংলাদেশ। আর এই ১১ দলের বিপক্ষেই প্রথম দেখায় হেরেছে বাংলাদেশ। তবে এবার সেই দুঃখ কিছুটা হলেও ঘোচাতে পেরেছে টাইগাররা। আইরিশদের বিপক্ষে একমাত্র টেস্টে ৭ উইকেটের জয় পেয়েছে বাংলাদেশ। ১৩৮ রানের লক্ষ্যে খেলতে নেমে চতুর্থ দিন দ্বিতীয় সেশনের প্রথম ঘণ্টায় জয় নিশ্চিত করে রয়েল বেঙ্গল টাইগাররা। এই ইনিংসে ৫১ রান করে অপরাজিত ছিলেন আগের ইনিংসে সেঞ্চুরি করা মুশফিক। সঙ্গে মুমিনুলও অপরাজিত ছিলেন ২০ রানে। এ ছাড়া তামিম ৩১ ও লিটন ২৩ রান করেন। মিরপুরে রান তাড়া করে এটি সবচেয়ে বড় জয় বাংলাদেশের। এর আগে জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে ২০১৪ সালে ৭ উইকেটে ১০১ রান করে জিতেছিল দল। এর আগে প্রথম দেখায় টেস্টে কোনো দলের বিপক্ষে জিতেনি বাংলাদেশ। আইরিশদের বিপক্ষে সেই খরা কাটলো এবার।

১৩৮ রানের লক্ষ্য নিয়ে ৭ এপ্রিল মাঠে নামেন তামিম ইকবাল ও লিটন দাস। লক্ষ্য ছোট হওয়ায় শুরু থেকেই দুজনে আগ্রাসী খেলার চেষ্টা করেন। দুজনে তিন ওভারে যোগ করেন ২৩ রান। এরপর আর বেশিদূর এগোতে পারেননি লিটন। অ্যাডেয়ারের শর্ট বলে পুল করতে গিয়ে বোল্ড হন তিনি। তার বিদায়ে ৩২ রানে প্রথম উইকেট হারায় স্বাগতিক শিবির। এরপর ক্রিজে আসেন নাজমুল হোসেন শান্ত।

ক্রিজে এসে শান্ত শান্তই ছিলেন। বেশিক্ষণ টিকতে পারেননি তিনি। ম্যাকব্রিনের আউটসাইড অফের বল খোঁচা দিয়ে স্লিপে দাঁড়ানো আইরিশ অধিনায়ক বালবির্নির হাতে ক্যাচ তুলে দেন এই ব্যাটার। তবে মাটি ঘেষা এই অসাধারণ ক্যাচটি বেশ কিছুক্ষণ সময় ধরে চেক করে টিভি আম্পায়ার আউটের সংকেত দেন। তখন বাংলাদেশের অর্জন ৪৩। এর আগের ইনিংসে শান্ত শূন্য রানে ফিরলেও এবার তার ব্যাট থেকে আসে মাত্র ৪ রান। এরপর ক্রিজে তামিমের সঙ্গী হন প্রথম ইনিংসের সেঞ্চুরিয়ান মুশফিক।

লিটন-শান্তের বিদায়ের পর বাংলদেশ ইনিংসে আর কোনো বিপদ ঘটেনি। তামিম-মুশফিকের ব্যাটে ধীরে ধীরে জয়ের দিকে এগোয় বাংলাদেশ। দুজনেই ব্যাট হাতে ছিলেন আগ্রাসী ভূমিকায়। বলের সঙ্গে পাল্লা দিয়ে তুলছেন রান। মধ্যাহ্ন বিরতিতে যাওয়ার আগে দুজনের জুটি থেকে ৪৯ বলে ৪৬ রান আসে। তখন ৮ উইকেটে জয়ের জন্য প্রয়োজন ৪৯ রান।

মধ্যাহ্ন বিরতির পর ফিরে সাবলীলভাবে খেলছিলেন তামিম-মুশফিক। অ্যাডেয়ারকে মারা মুশফিকের দুই চারে বাংলাদেশ ১০০ পূর্ণ করে। দুজনের জুটির ফিফটি পার হয় ৬২ বলে। আশাকরা হচ্ছিল এই জুটিই পৌছে যাবে জয়ের বন্দরে। কিন্তু ছন্দপতন ঘটে যখন ছক্কা মারতে গিয়ে আউট হয়ে যান তামিম। হোয়াইটকে মিডউইকেটের উপর দিয়ে উড়িয়ে মারতে গিয়ে কমিন্সের হাতে ক্যাচ তুলে ৬৫ বলে ৩১ রানের ইনিংস খেলেন এই ব্যাটার। তার আউটে ভেঙে যায় ৭৪ বলে ৬২ রানের জুটি। তখন বাংলাদেশের জয়ের বাকি থাকে মাত্র ২৮ রান। এরপর মুশফিকের সঙ্গি হন মুমিনুল।

নিউজটি শেয়ার করুন

আপনার মন্তব্য

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার ইমেইল এবং অন্যান্য তথ্য সংরক্ষন করুন

প্রথম দেখায় আইরিশদের বিপক্ষে বাংলাদেশের বড় জয়

আপডেট সময় : ০৪:২৭:৫১ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ৭ এপ্রিল ২০২৩

আয়ারল্যান্ডের সঙ্গে এই টেস্ট খেলার আগে মোট ১১টি দলের বিপক্ষে টেস্ট খেলেছে বাংলাদেশ। আর এই ১১ দলের বিপক্ষেই প্রথম দেখায় হেরেছে বাংলাদেশ। তবে এবার সেই দুঃখ কিছুটা হলেও ঘোচাতে পেরেছে টাইগাররা। আইরিশদের বিপক্ষে একমাত্র টেস্টে ৭ উইকেটের জয় পেয়েছে বাংলাদেশ। ১৩৮ রানের লক্ষ্যে খেলতে নেমে চতুর্থ দিন দ্বিতীয় সেশনের প্রথম ঘণ্টায় জয় নিশ্চিত করে রয়েল বেঙ্গল টাইগাররা। এই ইনিংসে ৫১ রান করে অপরাজিত ছিলেন আগের ইনিংসে সেঞ্চুরি করা মুশফিক। সঙ্গে মুমিনুলও অপরাজিত ছিলেন ২০ রানে। এ ছাড়া তামিম ৩১ ও লিটন ২৩ রান করেন। মিরপুরে রান তাড়া করে এটি সবচেয়ে বড় জয় বাংলাদেশের। এর আগে জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে ২০১৪ সালে ৭ উইকেটে ১০১ রান করে জিতেছিল দল। এর আগে প্রথম দেখায় টেস্টে কোনো দলের বিপক্ষে জিতেনি বাংলাদেশ। আইরিশদের বিপক্ষে সেই খরা কাটলো এবার।

১৩৮ রানের লক্ষ্য নিয়ে ৭ এপ্রিল মাঠে নামেন তামিম ইকবাল ও লিটন দাস। লক্ষ্য ছোট হওয়ায় শুরু থেকেই দুজনে আগ্রাসী খেলার চেষ্টা করেন। দুজনে তিন ওভারে যোগ করেন ২৩ রান। এরপর আর বেশিদূর এগোতে পারেননি লিটন। অ্যাডেয়ারের শর্ট বলে পুল করতে গিয়ে বোল্ড হন তিনি। তার বিদায়ে ৩২ রানে প্রথম উইকেট হারায় স্বাগতিক শিবির। এরপর ক্রিজে আসেন নাজমুল হোসেন শান্ত।

ক্রিজে এসে শান্ত শান্তই ছিলেন। বেশিক্ষণ টিকতে পারেননি তিনি। ম্যাকব্রিনের আউটসাইড অফের বল খোঁচা দিয়ে স্লিপে দাঁড়ানো আইরিশ অধিনায়ক বালবির্নির হাতে ক্যাচ তুলে দেন এই ব্যাটার। তবে মাটি ঘেষা এই অসাধারণ ক্যাচটি বেশ কিছুক্ষণ সময় ধরে চেক করে টিভি আম্পায়ার আউটের সংকেত দেন। তখন বাংলাদেশের অর্জন ৪৩। এর আগের ইনিংসে শান্ত শূন্য রানে ফিরলেও এবার তার ব্যাট থেকে আসে মাত্র ৪ রান। এরপর ক্রিজে তামিমের সঙ্গী হন প্রথম ইনিংসের সেঞ্চুরিয়ান মুশফিক।

লিটন-শান্তের বিদায়ের পর বাংলদেশ ইনিংসে আর কোনো বিপদ ঘটেনি। তামিম-মুশফিকের ব্যাটে ধীরে ধীরে জয়ের দিকে এগোয় বাংলাদেশ। দুজনেই ব্যাট হাতে ছিলেন আগ্রাসী ভূমিকায়। বলের সঙ্গে পাল্লা দিয়ে তুলছেন রান। মধ্যাহ্ন বিরতিতে যাওয়ার আগে দুজনের জুটি থেকে ৪৯ বলে ৪৬ রান আসে। তখন ৮ উইকেটে জয়ের জন্য প্রয়োজন ৪৯ রান।

মধ্যাহ্ন বিরতির পর ফিরে সাবলীলভাবে খেলছিলেন তামিম-মুশফিক। অ্যাডেয়ারকে মারা মুশফিকের দুই চারে বাংলাদেশ ১০০ পূর্ণ করে। দুজনের জুটির ফিফটি পার হয় ৬২ বলে। আশাকরা হচ্ছিল এই জুটিই পৌছে যাবে জয়ের বন্দরে। কিন্তু ছন্দপতন ঘটে যখন ছক্কা মারতে গিয়ে আউট হয়ে যান তামিম। হোয়াইটকে মিডউইকেটের উপর দিয়ে উড়িয়ে মারতে গিয়ে কমিন্সের হাতে ক্যাচ তুলে ৬৫ বলে ৩১ রানের ইনিংস খেলেন এই ব্যাটার। তার আউটে ভেঙে যায় ৭৪ বলে ৬২ রানের জুটি। তখন বাংলাদেশের জয়ের বাকি থাকে মাত্র ২৮ রান। এরপর মুশফিকের সঙ্গি হন মুমিনুল।