হাথুরুসিংহের কারণেই কি তামিমের অবসর?

- আপডেট সময় : ১০:২৩:৫২ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ৬ জুলাই ২০২৩ ৫৭ বার পড়া হয়েছে
গত ফেব্রুয়ারিতে চন্ডিকা হাথুরুসিংহের প্রত্যাবর্তনের সময়ই প্রশ্ন ছুটে গিয়েছিল, দলের অভিজ্ঞ ক্রিকেটারদের সঙ্গে তার সম্পর্কটা কেমন হবে? প্রথম মেয়াদে সিনিয়র ক্রিকেটারদের সঙ্গে সম্পর্কে অবনতিই হাথুরুসিংহের চাকড়ি ছেড়ে দেয়ার কারণ ছিল। তাই দ্বিতীয় মেয়াদে সেই ক্রিকেটারদের সঙ্গে তার সম্পর্ক জানতে চাওয়াটাই ছিল স্বাভাবিক।
শ্রীলঙ্কান কোচ তখন ইতিবাচক উত্তরই দিয়েছিলেন। তবে এটাও বলেছিলেন, তার দলে সবাইকে শতভাগ দিতে হবে।
শতভাগ সব ক্রিকেটারই দিতে চান। হাথুরুসিংহে আসলে ফিটনেসের ওপরই জোর দিয়েছেন। এবং ফিটনেস-ইস্যুতে চার সিনিয়রের মধ্যে দুজন বিপদসীমায় ছিলেন-মাহমুদউল্লাহ ও তামিম ইকবাল। ইংল্যান্ড সিরিজের পর থেকেই দলে জায়গা পাচ্ছেন না মাহমুদউল্লাহ। এ ব্যাপারে বোর্ড ও নির্বাচকরা যে যুক্তিই দেন না কেন; বাস্তবতা হলো, তার অনুপস্থিতিতে তরুণ ক্রিকেটারদের পারফরম্যান্স দলে তার ঢোকার পথটা কঠিন করে তুলেছে।
তামিম ইকবাল ওয়ানডে অধিনায়ক। টেস্টেও মূল ওপেনারদের একজন। তার পারফরম্যান্স নিয়ে গত কিছুদিন আলোচনা হচ্ছিল। হাথুরুসিংহে নতুন করে দায়িত্ব নেয়ার পর ১০ ইনিংসে ১টি ফিফটিসহ ২৩৯ রান করেছেন। গড় ২৬.৫৫ , স্ট্রাইকরেটও সুবিধার নয়, ৭৪.৯২। সন্দেহ নেই, প্রশ্ন তোলার মতো পারফরম্যান্স, তাই বলে দল থেকে বাদ পড়ার বা অধিনায়কত্ব কেড়ে নেয়ার মতো নয় সেটা।
সে প্রসঙ্গ ওঠেওনি। তবে আফগানিস্তানের বিপক্ষে প্রথম ওয়ানডের আগের দিন সংবাদসম্মেলনে তামিম অকপটে যখন জানিয়ে দেন, পুরোপুরি ফিট না হয়েও খেলবেন তিনি। তখনই নাটকীয়তার শুরু। একটি দৈনিকের সঙ্গে কথোপকথনে বোর্ড সবভাপতি নাজমুল হাসান পাপন জানান, তার কাছে এটা পেশাদার আচরণ মনে হচ্ছে না। এবং এ ঘটনায় কোচ হাথুরুসিংহে ক্ষুব্ধ।
আফগানিস্তানের বিপক্ষে প্রথম ম্যাচে ১৩ রান করে আউট হয়েছেন তামিম। তার দলও হেরে গেছে। এরপরই আজ অবসরের সিদ্ধান্ত জানিয়েছেন অধিনায়ক। অবসরের ঘোষণায় সংবাদসম্মেলনে নির্দিষ্ট কোনো কারণ বলেননি। এ নিয়ে আলোচনা না করার অনুরোধ করেছেন।
তবে পরে দৈনিক কালের কণ্ঠের সঙ্গে কথোপকথনে ঠিকই ইঙ্গিত দিয়েছেন দলের ভেতরকার পরিস্থিতি তাকে এমন সিদ্ধান্ত নিতে বাধ্য করেছে, ‘ওরা (তার পরিবার) বুঝতে পারছিল আমি ভালো বোধ করছি না। কেন ভালো বোধ করছিলাম না, সে প্রশ্ন করবেন না।’ এর সঙ্গে পরশু বোর্ড সভাপতির দেয়া বক্তব্যের কোনো সম্পর্ক নেই বলেই জানিয়েছেন তামিম।
ভালো না বোধ করার একটি কারণ অবশ্য বলেছেন কালের কণ্ঠকে, ‘ধরুন আমি আপনাকে একটা জিনিস দিলাম। কিন্তু দেওয়ার পর থেকেই চিন্তায় আছি সেটা কীভাবে ফেরত নিয়ে আরেকজনকে দেওয়া যায়। সেটা আবার আপনিও বুঝতে পারছেন। তাহলে কি আপনি সেটা রাখবেন? সেটা রেখে দেওয়া কি আপনার জন্য সম্মানজনক হবে?’
এই একটা জিনিস যে ওয়ানডে দলের অধিনায়কত্ব সেটা বুঝতে কারও বাকি নেই। আর তামিমের অবসরের সিদ্ধান্তটা কেন, সেটা টিম ম্যানেজমেন্ট বা বোর্ডোই হয়তো ভালো বলতে পারবে।